অপরাধএক্সক্লুসিভদুর্নীতিদেশপ্রতারনাপ্রশাসনবাংলাদেশবিশ্লেষণ

টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতিতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) বিরুদ্ধে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চরম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন প্রতিষ্ঠানটির তালিকাভুক্ত ঠিকাদাররা। অভিযোগ মতে, ঢাকা বিভাগীয় সড়ক পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে এই গুরুতর অনিয়ম হয়েছে।

অভিযোগকারী ঠিকাদারদের দাবি, ৮৫৭ জন তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের মধ্য থেকে স্বজনপ্রীতি ও মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে মাত্র ৩০০ জনকে আগামী বছরের কাজের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, কিন্তু খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজির একক ইচ্ছানুযায়ী এই তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। চূড়ান্ত হওয়া এসব ঠিকাদারদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। তাদের দাবি, যারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে শিডিউল জমা দিতে চেয়েছিলেন, তাদের অবৈধভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বাধা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ঘুষ বা চাঁদা না দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ পেতে চেষ্টা করলে খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা— আরসি ফুড এবং ডিজি ফুডের নির্দেশনায় একটি ‘কথিত অবৈধ ঠিকাদার সমিতি’ তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। এই অনিয়ম নিয়ে আরসি ফুড সুরাইয়া খাতুনের কাছে গেলে তিনি ভুক্তভোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেন এবং তাদের সমন্বয় কমিটির সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

ডিজি হুমায়ুনের বিরুদ্ধে পচা গম ও অতীতে বড় দুর্নীতির অভিযোগ

খাদ্য অধিদপ্তরের বর্তমান ডিজি হুমায়ুনের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। জানা যায়, কিছুদিন আগে তার নির্দেশনায় গুদামজাত করা পচা গমের আর্দ্রতা (moisture) ঠিক ছিল না।

অভিযোগ রয়েছে, গত সরকারের সময়কার সুবিধাভোগী এই আমলা বর্তমান সরকারের সময়ে বিপুল অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে খাদ্য বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে ধারাবাহিকভাবে দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। আরও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যে, সরকারি পরিবহন পুলে (Government Transport Pool) দায়িত্ব পালনকালে তিনি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। পরিবহন পুলের গাড়ির তেল অবৈধভাবে বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে দুবাইয়ে ফ্ল্যাট ও বাড়ি কিনেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button