Uncategorizedচট্টগ্রামদেশবাংলাদেশসম্পাদকীয়

বাকলিয়ায় রাতভর গোলাগুলি নিহত ছাত্রদল নেতা 

মুহাম্মদ জুবাইর: ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে ছাত্রদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত দশজন।

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে যুবদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত দশজন। সোমবার মধ্যরাতে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস ও সৈয়দ শাহ রোডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাজ্জাদ বাকলিয়ার তক্তারপুল এলাকার বাসিন্দা মো. আলমের ছেলে। তাঁদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসী।

আহত ব্যক্তিরা হলেন–জুয়েল, সাব্বির, শরীফ, ইয়াসিন, একরাম, পারভেজ ও মারুফ। তাঁরা সবাই বাকলিয়ার বৌ-বাজার এলাকার বাসিন্দা। 

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা ও যুবদল নেতা বোরহানের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, বোরহানপন্থীরা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের ছবিসহ একটি ব্যানার টানান সৈয়দ শাহ রোডে। রাতে বাদশার অনুসারীরা মেয়রের নির্দেশের কথা বলে ব্যানারটি নামাতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় এবং শুরু হয় গোলাগুলি । গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাজ্জাদসহ অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাজ্জাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন আরও জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

সাজ্জাদের বড় ভাই মো. ইমরান গণমাধ্যমকে জানান, তাঁর ভাইকে রাতে অন্য এক বিএনপি কর্মী মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোলাগুলির খবর পেয়ে জানা যায় সাজ্জাদ মারা গেছে।

এমদাদুল হক বাদশা চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকলেও দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গত জুলাইয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।

এ ঘটনায় বাকলিয়া থানা পুলিশকে দায়ী করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, সাজ্জাদ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে এক সপ্তাহ আগেও পুলিশ কমিশনার সহ ওসিকে বলেছিলেন তিনি। সেই কথা না শোনায় এমন মাশুল এখন দিতে হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button