
নিউজ ডেস্ক : ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রতিনিয়ত হামলা মামলাসহ নানাধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বরগুনার ছাত্রদল নেতা গোলাম রাসেল খোকন। চরম প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে দমে যাননি তিনি। একেরপর এক ষড়যন্ত্রের জালে আটকানো অপচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও অদম্য সাহস তাকে টিকিয়ে রেখেছে রাজপথে। বিগত সতেরো বছর নিতান্তই মুষ্টিমেয় কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে বারবার সোচ্চার আন্দোলন গড়ে তোলার প্রাণপণ চেষ্টা ছিল ছাত্রনেতা খোকনের। পুলিশি বাধার মুখে পড়েও রাজপথ থেকে বিচ্যুত হননি মূহুর্তের জন্যও।পুলিশের বেড়িকেড ভাঙার দায়ে পুলিশের লাঠিচার্জে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়েও ছিলেন অনড়। হয়েছেন পাশবিক নির্যাতনের শিকার। বারবার হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন একজন অকুতোভয় রাজনৈতিক বীর হিসেবে।

স্বৈরাচার হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৪ এর জুলাই আগস্টের ছাত্রজনতার আন্দোলনে ছাত্রদল নেতা গোলাম রাসেল খোকনের ভূমিকা ছিল দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসনীয়। যদিও ঐ সময়ে তার জীবনের চরম ঝুঁকির মধ্যে রাজপথে বিচরণ করতে হয়েছে। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের দোসর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, টোকাই ও আওয়ামী পুলিশের চক্ষুশূল। মাসের পর মাস নিজ বাসায় ঘুমানোর তো দূরের কথা, নিয়মমাফিক নাওয়া, খাওয়া ও ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল খোকনের।ছাত্রনেতা গোলাম রাসেল খোকন ৫ আগস্ট পরবর্তী বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত করেছেন।
জেলা ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের যথাসাধ্য সাহায্য ও সহযোগিতা করে সর্বমহলের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ছাত্রনেতা গোলাম রাসেল খোকন এর বহুমুখী সামাজিক কর্মকাণ্ড গোলাম রাসেল খোকন ২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি পর্যন্ত প্রতিরাতে জেলার বিভিন্ন এলাকার হিন্দু নেতাদের সাথে দেখা করে তাদের সাহস যুগিয়েছেন।

কেউ অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে এরকম আশ্বস্ত করেছেন। দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর বরগুনা জেলা শহরের অদূরে অবস্থিত কালিবাড়ী মন্দির, আখড়াবাড়িসহ বিভিন্ন মন্দিরে হিন্দুদের সাথে নেতাকর্মীদের দ্বারা পাহারার ব্যবস্থা করিছিলেন। তিনি সমন্বয় করে নির্ঘুম রাত কাটাতেন।
সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে দীর্ঘদিন ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১১ আগস্ট হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মেলনে পাহারার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং খাবার পানি বিতরণ করেছেন।
১২ আগস্ট সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে বরগুনা সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানরের দেয়ালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছবি এঁকেছেন। বরগুনা জেলা মাল্টি পার্টি এডভোকেসি ফোরামের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে হিন্দুদের দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে কোন বাধা তৈরি না হয় সেজন্য হিন্দু নেতাদের সাথে গোলটেবিল বৈঠক করেছেন।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানববন্ধন করেছেন।

২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বরগুনা শহরে রাস্তায় ঘুমন্ত শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছেন। বরগুনা সরকারি শিশু পরিবারের এতিম শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছেন। বরগুনা সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে একাধিকবার মতবিনিময় সভা করে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। কর্তৃপক্ষের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও বরগুনা সরকারি কলেজের খেলার মাঠ খেলাধুলা করার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ২৫ বরগুনার স্বাস্থ্যসেবা মানোন্নয়নের জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সভা করেছেন দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।পথচারীদের মধ্যে রমজান মাসে একাধিকবার ইফতার বিতরণ করেছেন।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এসকল কর্মকান্ড অব্যাহতভাবে পরিচালনা করছেন ছাত্রনেতা খোকন।ছাত্রনেতা গোলাম রাসেল খোকনের এই বহুমুখী সামাজিক কর্মকাণ্ড স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে গ্রহনযোগ্য ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। গোলাম রাসেল খোকন দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নে নিজের সক্রিয় অবদান রাখার মাধ্যমে নিজেকে একজন আদর্শ ছাত্রনেতার উদাহরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। দলের বৃহত্তর পরিসরে তার সুযোগ্য নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন মনে করছেন বরগুনার সচেতন নাগরিকগণ।



