Uncategorizedঅপরাধআইন ও বিচারএক্সক্লুসিভচট্টগ্রামদেশপ্রশাসনবাংলাদেশরাজনীতি

চট্টগ্রামে যুবদল সভাপতিপ্রার্থীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, ছিনতাই ও চুরির অভিযোগে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের ডবলমুরিং চুরি, সংঘবদ্ধ অপহরণ এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক সম্পত্তি গ্রহণ করার অভিযোগে থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও সভাপতি পদপ্রার্থী এক যুবদল নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। গত ২৭ অক্টোবর সিএমপির ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের হলেও অনেকটাই গোপন রাখা হয় মামলাটি। গতকাল শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হয়। মামলার বাদী মো. হাসান নামের এক ব্যক্তি যিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন।  মামলার এজাহারে তিনি তার অফিসের একটি প্রাইভেটকার, নগদ ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও একটি ল্যাপটপ চুরিসহ অফিসের সম্পদ আত্মসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ আনেন।

মামলায় আসামিরা হচ্ছেন নগরের আকবরশাহ থানাধীন উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বিশ্ব কলোনীর জি ব্লক কাঁচা বাজার এলাকার বাসিন্দা কাসিমাতুন সুবাত মাহী (২১), আকবরশাহ থানাধীন উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বিশ্ব কলোনীর কাঁচাবাজার এলাকার বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা শরীফ উদ্দিন আলম জুয়েল প্রকাশ জুয়েল চৌধুরী (২৬), আকবরশাহ থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও থানা যুবদলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী মো. ইলিয়াস খান (৩৫), হালিশহর অন্ধ ফকিরের মাজার এলাকার বাসিন্দা মীর কাসেম (৩৮)। 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আজাদ। 

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, গত ৫ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে নগরের আগ্রাবাদ এলাকার কাদেরী চেম্বারের ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত মেসার্স মেট্রো স্কাই সিটি লিমিটেড অফিসের কর্মচারী আসামি কাসিমাতুন সুবাত মাহী (২১) প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রাখেন। ব্যাংকে টাকা জমা না হওয়ায় তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এক পর্যায়ে অফিসে ফিরে দেখি অফিসের ব্যবহৃত ৩৪ হাজার টাকা মূল্যমানের একটি ল্যাপটপও তিনি নিয়ে গেছেন। এই বিষয়ে বারংবার মাহীকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বিষয়টি ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয় এবং তাঁদের নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট থানা হিসেবে ডবলমুরিং থানায় অভিযোগ জানাতে যাই। থানাকে অবগত করে আমি  বাসায় চলে যাই এবং চালক মোরশেদ অফিসের প্রাইভেটকারটি নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি রাউজানে চলে যান।

পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপ চুরি, গ্রাহকের সাড়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে থানায় অভিযোগ জানাতে যাই। আমার সাথে চালক মোরশেদও আসেন, তবে গাড়িটি রাউজানে তার গ্রামের বাড়িতে রেখে আসেন। আমরা থানায় অভিযোগ জানাতে যাচ্ছি- এই সংবাদটি ১, ২ ও ৪নং আসামি জানতে পেরে ডবলমুরিং থানার অদূরে দেওয়ানহাটে পথের গতিরোধ করে  প্রাইভেটকার চালক মোরশেদকে জোরপূর্বক ৩নং আসামির আকবরশাহ বিশ্বকলোনীস্থ অফিসে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে চালককে হুমকি-ধমকি ও মারধর করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button