বাংলাদেশবিনোদনসাংস্কৃতি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার’ অষ্টম বর্ষ পূর্তি ও নবম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে

ইতি আক্তার: গত ১লা নভেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা কচিকাঁচা মিলনায়তনে সম্পাদক ও প্রকাশক অশোক ধর এর সভাপতিত্বে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের সাবেক বিচারপতি হাসমত আলী, প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক সচিব সৈয়দ মারগুব মোরশেদ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এডিটর’স ফোরামের মহসচিব এবং ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস্ এর প্রধান সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক জালাল এবং পত্রিকার প্রধান সম্পাদক রাজু আলীম। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বিটিভি’র সাবেক মহাপরিচালক বিএনপির সাবেক তথ্য গগবেষণা সম্পাদক রেজাবোদ্দৌলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক সাংবাদিক ইউনিয়ন -বিএফইউজে নেতা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ,জাসদ শাহজাহান সিরাজের সহ-সভাপতি কাজী ফারুক, বাচসাস নেতা রেজাউল করিম রেজা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী,কবি লেখক আসলাম সানী,জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম,অধ্যাপক নজরুল ইসলাম তমিজী,মহুয়া কবীর, টুটল হুমায়ূন, হুমায়ূন মুজিব, মফস্বল সাংবাদিক নেতা আবু জাফর,বাংলাদেশ সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও স্বদেশ বিচিত্রা’র উপদেষ্টা সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রনি, কানাডা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হূমায়ুন পাটোয়ারী , জেদ্দা বিএনপির সভাপতি এমএ আজাদ চয়ন, আবুধাবি বিএনপির সভাপতি সালাহউদ্দিন সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমরা সকলে জানি পত্রিকার জন্মলগ্নের ইতিহাস কিছুটা। একদিকে সংবাদ পত্র চালানো হাতির খোরাক অপরদিকে সমাজ ও রাষ্ট্র এবং মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে এগিয়ে নেয়ার ভূমিকা পালন করে সংবাদ পত্র ও সাংবাদিকতা। অপরদিকে রাষ্ট্রের চূতুর্থ্য স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের এই নীতিমালা কে ধারন করে এই পথ চলা অনেক দূরহ ও কঠিন। বলতে গেলে এক সময় পত্রিকা চালানো ছিল কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে। পত্রিকার কাটতি ও বিজ্ঞাপন পেতে নানা খবর দিয়ে পত্রিকার পাঠক ও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হতো।হাতে গুনা কিছু পত্রিকা। পাঠক ছিল প্রায় অর্ধকোটি উপরে। বর্তমানে শত শত পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন, মাল্টিমিডিয়া সহ গণমাধ্যমের ব্যাপকতা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায় কিন্তু গণমাধ্যমের পাঠক অনেক কমে যায়। এটা একটা চরম বাস্তবতা। আবার তখনকার সময় সরকারি ও বেসরকারি ভাবে পত্রিকা এবং গণমাধ্যম কে বিজ্ঞাপন দিয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা করা হয়। তখন অত্যন্ত সীমিত আকারে বাজেট থাকার পরও পত্রিকার জন্য বাজেট রাখা হত আন্তরিকতা নিয়ে। এখন সীমাহীন বাজেট থাকার পরও পত্রিকার এবং গণমাধ্যমের জন্য বাজেট অপ্রতুল। বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোর গণমাধ্যমের জন্য কোন বাজেট রাখেনা বললেই চলে। একদিকে অসহযোগিতা অপরদিকে গণমাধ্যমের উপর আক্রমণ মুলক আচরণ। এই হলো আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের নির্মম ভূমিকা গণমাধ্যমের উপর অথচ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে সমাজ ও রাষ্ট্র এবং মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গণমাধ্যমের আপন গতিতে চলমান। অনেক বিতর্কের মধ্যেও গণমাধ্যম সমাজ ও রাষ্ট্র এবং মানুষের ভরসার জায়গা গণমাধ্যম। আজকে পৃথিবীতে যে সকল দেশ উন্নত ও কল্যাণকর সেসকল দেশের ভীত ছিল গণমাধ্যম । এই গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে সরকার এবং রাষ্ট্রের সকল গণমাধ্যমের প্রতি সহনশীল হলে রাষ্ট্র এবং জনগন উভয়ে লাভবান হবে এই বিশ্বাস শতভাগ এই প্রত্যাশায় আমাদের পথচলা। আমাদের দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার অষ্টম বর্ষ পূর্তি ও নবম বর্ষে পদার্পণ দেশবাসী কে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবং শুভাকাঙ্ক্ষী, শুভানুধ্যায়ীদের,বিজ্ঞাপন দাতা সকলের প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা। সর্বোপরি দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার সাথে দীর্ঘদিন যারা জড়িত রয়েছেন সাংবাদিক কলামিস্ট ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। বক্তারা বলেন, দেশের কল্যাণে অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে ৫২ ‘র ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে কাজ করে যাবে এবং ২৪ সহ দেশের সকল গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের প্রগতিশীল পরিবর্তন ধারণ করে পত্রিকা এগিয়ে যাবে। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন পর্যায়ের গুণীজন ও সাংবাদিকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন আজগর হোসেন ও আসিফ মাহমুদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button