মানবতাবিরোধী অপরাধ: দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)-এর মামলায় দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (অতিরিক্ত এসপি) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই মামলায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির (সারদা) কর্মরত ডিআইজি এহসানুল্লাহকে গ্রেপ্তারের সময় তিনি রহস্যজনকভাবে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। এই পলায়নের ঘটনা এবং সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও আইসিটির উচ্চপর্যায়ে তদন্ত চলছে।
পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে র্যাবের আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের সহযোগী সিআইডি-র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমানকে সিআইডি ঢাকা মেট্রো অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিআইডি সূত্র জানায়, দুপুরের দিকে আইসিটির একটি প্রতিনিধি দল তাঁকে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় উত্তরা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের সাবেক এডিসি সালাউদ্দিনকেও পুলিশের অন্য একটি দল গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ডিআইজি এহসানুল্লাহ, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে সাপ্লাই বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁকে আটক করার জন্য বুধবার সকালে পুলিশ একাডেমি, সারদায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাঁকে পালাতে সহায়তা করেছেন। এই বিষয়ে জানতে পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপালকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, আইসিটির প্রতিনিধিরা জেলা পুলিশের সহায়তায় বুধবার ভোর ৬টায় সারদা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান। কিন্তু কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ও যোগাযোগের সুযোগ দিতে দেরি করেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সুযোগে ডিআইজি এহসানুল্লাহ খবর পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। দিনভর রাজশাহীতে এই ঘটনা ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।



