সাবেক এমপি নিজাম হাজারীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: সাবেক সংসদ সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তার ব্যাংক হিসাবে ৪৩ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও আনা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক এ. এম. তাহের বাদী হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি রুজু করেন। এক ব্রিফিংয়ে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নুরজাহান বেগম চলতি বছরের ১০ এপ্রিল কমিশনে তার মোট ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। কমিশনের যাচাইয়েও তার নামে একই পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তবে, তার বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া যায় মাত্র ১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকার। পারিবারিক ব্যয় ৮ কোটি ১৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা বাদে তার নীট আয় বা সঞ্চয় দাঁড়ায় ৮ কোটি ২৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এই হিসাবের ভিত্তিতে, তিনি বৈধ আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন, যার কোনো বৈধ ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও এনেছে দুদক। অভিযোগে বলা হয়েছে, নুরজাহান বেগম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ফেনী শাখায় একটি চলতি হিসাব চালু করেন। সেই হিসাবে ২০১৯ সালের ২২ জুন থেকে ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট ২৩ কোটি ১৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জমা এবং ২০ কোটি ১৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই দীর্ঘ সময়ে তিনি ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের জন্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ ধারায় কমিশন কর্তৃক নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।



