পরীক্ষা ছাড়াই চিফ ইন্সপেক্টর: আবু সুফিয়ানের পদোন্নতি নিয়ে বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এক বিতর্কিত পদোন্নতি। পরীক্ষা ছাড়াই ইন্সপেক্টর পদ থেকে চিফ ইন্সপেক্টর হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন আবু সুফিয়ান। রেলওয়ের নিয়ম-নীতি অমান্য করে এ পদোন্নতি দেওয়ায় সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক কাঠামো উপেক্ষা করে কীভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ সম্ভব?
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চিফ ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা ও পরীক্ষার শর্ত থাকলেও তা উপেক্ষা করে আবু সুফিয়ানকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই চিফ ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ব্যাজ পরিধান করছেন, যা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর নীতিমালার পরিপন্থী।
সূত্র আরও জানায়, সিজিপিওয়াই এলাকার বিভিন্ন স্থানে আবু সুফিয়ানের নির্দেশে কথিত ক্যাশিয়ার দুলালের মাধ্যমে দখলবাণিজ্য, তেল চুরি, ট্রাক স্ট্যান্ড বাণিজ্য ও সরকারি জমিতে চাষাবাদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব চাঁদার অংশ নাকি বড় কর্মকর্তাদের পকেটেও যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা আবু সুফিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। তিনি বলেন, না জেনে কল দিয়েছেন নাকি? আমি কিছু বলতে পারব না। চাইলে আমার উপর মহলে যোগাযোগ করুন।চীফ কম্যান্ড্যান্ট (আরএনবি পূর্বাঞ্চল) মো. আশাবুল ইসলাম বলেন, লোকবল সংকটের কারণে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ব্যাজ পরিধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, যদি মৌখিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে ব্যাজ পরিধান করা যেতে পারে।তবে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো কর্মকর্তা দপ্তরাদেশ ছাড়া উচ্চপদস্থ ব্যাজ ব্যবহার করতে পারেন না। ফলে বিষয়টি প্রশাসনিক নিয়মবহির্ভূত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।এ ঘটনায় রেলওয়ের অভ্যন্তরে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাধারণ জনগণ ও সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ প্রশাসনিক স্বচ্ছতার জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।



