ইসলাম ধর্ম

গিবত ও পরনিন্দার ভয়াবহ পরিণতি: কুরআন ও হাদিসের নির্দেশনা

ইসলামিক বিচিত্রা ডেস্ক: ইসলাম ধর্মে গিবত বা পরনিন্দা করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে এবং এর ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল (সা.) এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা পরনিন্দা ও মন্দ নামে ডাকা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সূরা হুজুরাতে আল্লাহ বলেন, “তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ কোরো না। আর তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না।” (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১২)।

এছাড়াও, গিবতকারীদের পরিণতি সম্পর্কে সূরা হুমাজায় আল্লাহ বলেন, “দুর্ভোগ এদের প্রত্যেকের যে সামনে ও পেছনে লোকের নিন্দা করে, যে অর্থ জমায় ও বারবার তা গোনে, ভাবে যে এ অর্থ তাকে অমর করে রাখবে। কখনো না। তাকে তো ফেলা হবে হুতামায়। হুতামা কী, তুমি কি তা জান? এটা আল্লাহর প্রজ্বলিত হুতাশন, যা হৃৎপিণ্ডগুলোকে গ্রাস করবে, ওদেরকে বেঁধে রাখবে দীর্ঘায়িত স্তম্ভে।” (সুরা হুমাজা, আয়াত: ১-৯)।

গিবতকারী সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, “পরচর্চাকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।” (বুখারি ও মুসলিম)।

অন্য এক হাদিসে মিরাজ রজনীর ঘটনা বর্ণনা করে রাসূলুল্লাহ (সা.) পরনিন্দাকারীদের ভয়াবহ শাস্তির চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “যখন আমাকে মিরাজে নিয়ে যাওয়া হলো, তখন আমাকে তামার নখওয়ালা একদল লোকের পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। তারা তাদের নখগুলো দিয়ে মুখমণ্ডল আর বুকে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাইল! এরা কারা? জিবরাইল (আ.) বললেন, এরা দুনিয়াতে মানুষের গোশত ভক্ষণ করত এবং তাদের মানসম্মান নষ্ট করত। অর্থাৎ তারা মানুষের গিবত ও কুৎসা করত।” (আবু দাউদ)।

এই পবিত্র নির্দেশনাগুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে, গিবত ও পরনিন্দার মতো অভ্যাস থেকে বিরত থাকা প্রতিটি মুমিনের জন্য অপরিহার্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button