ইসলাম ধর্ম

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার ১০ উপায়

বদভ্যাস পরিহার ও ইবাদতের মাধ্যমে বান্দার আত্মরক্ষার কৌশল

ইসলামিক বিচিত্রা ডেস্ক: শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু এবং এর কুমন্ত্রণা থেকে আত্মরক্ষার জন্য ইসলামে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক ও ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও পণ্ডিত ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহিমাহুল্লাহ) শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য বান্দা যে দশটি কাজ করতে পারে, তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।

তাঁর দেওয়া এই দশটি উপায় নিচে তুলে ধরা হলো, যা প্রতিটি মুমিনের জীবনে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে:

১. আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা:
প্রথমত, শয়তানের প্ররোচনা থেকে বাঁচার জন্য সরাসরি মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে।

২. সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ:
কুরআনের শেষ দুটি সূরা (সূরা ফালাক ও সূরা নাস) বেশি বেশি পাঠ করা শয়তানের আক্রমণ প্রতিহত করতে অত্যন্ত কার্যকর।

৩. আয়াতুল কুরসি পাঠ:
কুরআনের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আয়াত, ‘আয়াতুল কুরসি’ নিয়মিত পাঠের মাধ্যমে শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৪. সূরা বাকারা তেলাওয়াত:
কুরআনের দীর্ঘতম সূরা ‘সূরা বাকারা’ পাঠ শয়তানকে দূরে রাখে।

৫. সূরা বাকারার শেষ আয়াত পাঠ:
বিশেষভাবে সূরা বাকারার শেষ কয়েকটি আয়াত নিয়মিত পাঠ করা শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়।

৬. সূরা গাফিরের প্রথমাংশ তেলাওয়াত:
পবিত্র কুরআনের সূরা গাফিরের প্রথম অংশ বা শুরু দিককার অংশ তেলাওয়াত করাও শয়তান থেকে আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক।

৭. তাওহীদের কালেমা বেশি বলা:
নিয়মিত এই বাক্যটি বেশি বেশি বলা:
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।)

৮. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ:
সর্বদা এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) করার মাধ্যমে শয়তানের প্রভাব দুর্বল হয়ে যায়।

৯. বাড়তি অভ্যাস পরিহার:
অপ্রয়োজনীয়ভাবে বেশি কথা বলা, বেশি দেখা এবং অতিরিক্ত খাওয়া—এই তিনটি বিষয় পরিহার করে চলা।

১০. জনসমাগম এড়িয়ে চলা:
অপ্রয়োজনীয় মানুষের ভিড় এবং অতিরিক্ত জনসমাগম থেকে দূরে থাকার মাধ্যমে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্ত থাকা সহজ হয়।

(সূত্র: বদায়েউল ফাওয়ায়েদ, ২/২৬৭)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button