মজলুমের ফরিয়াদ: যে দোয়ায় আল্লাহর সাড়া মেলে দ্রুততম সময়ে

ইসলামিক বিচিত্রা ডেস্ক: মহান আল্লাহর দরবারে বিচারপ্রার্থীর ফরিয়াদ বা মজলুমের দোয়া অত্যন্ত শক্তিশালী ও তাৎপর্যপূর্ণ। ইসলামি বিশ্বাস ও হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, নির্যাতিত বা ভুক্তভোগী ব্যক্তির দোয়া এবং আল্লাহর আরশের মধ্যে কোনো অন্তরায় বা পর্দা থাকে না। ফলে মজলুম ব্যক্তি যখন কোনো প্রার্থনা করেন, তা মহান রবের কাছে বিশেষভাবে ও দ্রুত কবুল হয়।
জুলুম বা অত্যাচারের শিকার হলে একজন মুমিন হতাশাগ্রস্ত না হয়ে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করেন। ওলামায়ে কেরাম ও হাদিসের আলোকে বিপদগ্রস্ত ও নির্যাতিত ব্যক্তির জন্য কয়েকটি প্রসিদ্ধ ও কার্যকরী দোয়া নিচে তুলে ধরা হলো—
১. ঐশ্বরিক সাহায্য লাভের দোয়া
নির্যাতিত অবস্থায় আল্লাহর সাহায্য চাইতে খুব ছোট কিন্তু শক্তিশালী এই দোয়াটি পাঠ করা যায়:
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নি মাজলুমুন ফানসুরনি।”
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি নির্যাতিত, আপনি আমাকে সাহায্য করুন।
২. জুলুম থেকে মুক্তি ও আল্লাহর ওপর ভরসার দোয়া
বিপদে মহান রবের ওপর পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করে এই দোয়াটি পড়া অত্যন্ত ফলপ্রসূ:
উচ্চারণ: “হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হু, আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ও হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।”
অর্থ: আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আমি তাঁর ওপরই ভরসা করি, তিনিই মহান আরশের অধিপতি।
৩. ধৈর্য ধারণ ও আল্লাহর সঙ্গলাভ
আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন। জুলুমের শিকার হয়েও যারা সবর বা ধৈর্য ধারণ করেন, তাদের জন্য আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হলো:
উচ্চারণ: “ইন্নাল্লাহা মা’আস্ সাবিরীন।”
অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।
মজলুমের দোয়া কেন এত শক্তিশালী?
মজলুমের আহাজারি বা দোয়া কেন দ্রুত কবুল হয়, সে সম্পর্কে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উম্মতকে সতর্ক করেছেন। বুখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন—
“মজলুমের (নির্যাতিতের) দোয়া থেকে সাবধান থেকো! কেননা, তার দোয়া ও আল্লাহর মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না।”
অর্থাৎ, অত্যাচারিত ব্যক্তির আর্তনাদ সরাসরি আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়। তাই ইসলামে কারো ওপর জুলুম করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে এবং মজলুমের দোয়ার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।



