সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল ও স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলন ও তার স্ত্রী শাহজাদী আলম লিপির সব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের (জব্দ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জব্দকৃত এসব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার বা তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. শাহজাহান কবির পৃথক দুটি আবেদনে এই আদেশ প্রদান করেন।
মামলার নথিপত্র ও দুদক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাবেক উপ-কমিশনার এবং পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলন (৫২) ও তার স্ত্রী মেধা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহজাদী আলম লিপির (৪৬) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পদের তথ্য পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম অভিযুক্ত দম্পতির স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং রিসিভার নিয়োগের জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা যাতে তাদের সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর করতে না পারেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার, সাব-রেজিস্ট্রার এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জব্দকৃত সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির জন্য আদালত রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন। সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলমের বগুড়া জেলার সম্পত্তির জন্য বগুড়া জেলা প্রশাসক ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী; ঢাকা জেলার সম্পত্তির জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসক, মহাখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঢাকা-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সম্পত্তির জন্য সেখানকার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে রিসিভার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী শাহজাদী আলম লিপির বগুড়া ও ঢাকার সম্পত্তির জন্যও যথাক্রমে বগুড়া ও ঢাকার জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীদের রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।



