মানবাধিকার পরিচয়ে প্রতারণা—মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারীর গুরুতর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:মানবাধিকার আইন সহায়তা ফাউন্ডেশন “আসর”-এর তথাকথিত ইনফরমেশন অফিসার পরিচয়দানকারী মোঃ মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে, প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা আশা মনি, যিনি নিজেকে মানিক মিয়ার সপ্তম স্ত্রী দাবি করেছেন, তিনি আইনি সহায়তা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চেয়ে আদালত ও গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন।অভিযোগ অনুযায়ী, মানিক মিয়া একাধিক নামে—মান, রতন, মুন্না, রাজু, জাহাঙ্গীর—পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে এ পর্যন্ত ৯টি বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর কয়েক মাস থেকে এক বছর সংসার করে নতুন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাই তার “ব্যবসা”—এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
আশা মনি জানান, মানিক মিয়া চার বছরের দাম্পত্য জীবনে তার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে এবং একাধিকবার বিদেশে পাঠানোর নামে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেছে। তিনি আরও জানান, নতুন বিয়ের অভিযোগ তুললে মানিক মিয়া রান্নাঘরের বটি দিয়ে তাকে জবাই করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি চিকিৎসা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে মামলা (নং: ১৭৭৮) দায়ের করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মানিকের প্রতারণায় তার মা সখিনা বেগম, ভাই মজিদ এবং বোন রোকসানা-ফারজানা সহযোগিতা করে থাকে। পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনের এক নির্বাহী পরিচালকও টাকার বিনিময়ে তাকে রক্ষা করেন বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
বর্তমানে মানিক মিয়া পলাতক। ভুক্তভোগী আশা মনি নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে বলেন, “যেকোনো সময় আমাকে হত্যা করতে পারে। আমি তার কঠোর শাস্তি চাই।”



