অপরাধদুর্নীতিপ্রশাসনবাংলাদেশমিডিয়া

মাগুরা হাসপাতাল সুপারের সম্পদের পাহাড়

মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. মহসিন উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি চাকরির সীমিত আয়ের সঙ্গে চরম অসামঞ্জস্যপূর্ণ এক বিলাসী জীবনযাপন এবং বিপুল সম্পদের মালিকানা নিয়ে খোদ নিজ দপ্তরেই চলছে তোলপাড়।

ফরিদপুর জেলার টেকেরহাটের বাসিন্দা ডা. মহসিন উদ্দিন ফকির গত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে মাগুরা সদর হাসপাতালের প্রধান কর্তার দায়িত্বে রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের অনাথের মোড় এলাকায় ‘পদ্মা টাওয়ার’ নামে একটি ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজে তার বড় অঙ্কের শেয়ার রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ওই ভবনের পাশেই আরেকটি ১০ তলা ভবনে তিনি নামে-বেনামে ৭ থেকে ৮টি ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ডা. মহসিন সম্প্রতি ৮০ লাখ টাকা মূল্যের একটি ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি কিনেছেন। তার মাসিক বেতন ও বৈধ আয়ের সঙ্গে এই ব্যয়ের কোনো সামঞ্জস্য নেই। স্থানীয় সচেতন মহলের প্রশ্ন, সামান্য বেতনের চাকরি করে এত অল্প সময়ে কীভাবে তিনি একাধিক ফ্ল্যাট ও দামি গাড়ির মালিক হলেন?

হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্র ও স্থানীয়দের দাবি, মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ এবং দরিদ্র রোগীদের ওষুধের টাকা আত্মসাৎ করেই তিনি এই বিত্তবৈভব গড়ে তুলেছেন। হাসপাতালে যেখানে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা ও ওষুধ পাচ্ছেন না, সেখানে তত্ত্বাবধায়কের ব্যক্তিগত সম্পদের এই উল্লম্ফন দুর্নীতির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।

মাগুরাবাসীর দাবি, হাসপাতালের সম্পদ লুণ্ঠনকারী এই কর্মকর্তার আয়ের উৎস খতিয়ে দেখতে অবিলম্বে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রয়োজন।

(বি:দ্র: এই অনিয়মের বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণসহ ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আগামী পর্বে চোখ রাখুন)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button