অপরাধএক্সক্লুসিভদুর্নীতিপ্রশাসনবাংলাদেশবিশ্লেষণমিডিয়া

বদলির আদেশ হটিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ‘আশীর্বাদে’ বহাল গুলশানের ডিসি তারেক: নেপথ্যে মাফিয়া সিন্ডিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কূটনৈতিক ও অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান জোন। ভিআইপিদের বাসভবন ও স্পর্শকাতর এই এলাকাটিতে মাদক কারবার, অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং মাফিয়া চক্রকে শেল্টার দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে খোদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) তারেক মাহমুদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, ঘুষ বাণিজ্য ও অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়ার দায়ে তাকে একবার প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হলেও অদৃশ্য এক ‘আশীর্বাদে’ তিনি স্বপদে পুনর্বহাল হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডিসি তারেক মাহমুদের ছত্রছায়ায় গুলশানের অভিজাত এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থেকেও তিনি মাফিয়াদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

সূত্রমতে, এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিপূর্বে তাকে গুলশান জোন থেকে প্রত্যাহারের সরকারি আদেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু বিস্ময়করভাবে সেই আদেশ কার্যকর হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের প্রত্যক্ষ মদদ ও আশীর্বাদে তিনি পুনরায় স্বপদে বহাল হন। একজন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ আসার পরেও কার স্বার্থে এবং কেন তাকে পুনর্বহাল করা হলো, তা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সচেতন মহল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, ডিসি তারেক মাহমুদের মতো বিতর্কিত কর্মকর্তাদের কেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দিনের পর দিন প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন? আনিস আলমগীর বা মাসুদ কামালের মতো জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা হয়তো এই রহস্যের জট খুলতে পারবেন বা এর নেপথ্য কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবেন বলে মনে করছেন অনেকে।

ভিআইপি জোনের নিরাপত্তা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় অবিলম্বে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত এবং ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button