ইতিহাস ও ঐতিহ্যইসলাম ধর্মধর্ম ও জীবন

যে প্রেক্ষাপটে খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) পেলেন ‘সাইফুল্লাহ’ উপাধি

ইসলামিক বিচিত্রা ডেস্ক: ইসলামের ইতিহাসে মুতার যুদ্ধ এক অনন্য অধ্যায়। এই রণাঙ্গনেই অসামান্য বীরত্ব আর কৌশলের পরিচয় দিয়ে হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) লাভ করেছিলেন ‘সাইফুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর তরবারি’ খেতাব। মদিনায় থেকেও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ওহির মাধ্যমে এই যুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্তের খবর পাচ্ছিলেন এবং সাহাবীদের কাছে তা বর্ণনা করছিলেন।

সহিহ বুখারির ৩৯৩৬ নম্বর হাদিসে এই ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবীদের উদ্দেশে যুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘প্রথমে যায়েদ পতাকা হাতে নিলেন, তিনি শহীদ হলেন। এরপর জাফর পতাকা নিলেন, তিনিও শাহাদাতবরণ করলেন। তারপর আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা পতাকা নিলেন এবং তিনিও শহীদ হলেন। সবশেষে আল্লাহর তরবারি (খালিদ) পতাকা ধারণ করলেন এবং আল্লাহ তাঁর হাতে বিজয় দান করলেন।’

মূলত এই ঘটনার পর থেকেই খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)-এর নামের সঙ্গে ‘সাইফুল্লাহ’ উপাধিটি যুক্ত হয়।

ইতিহাসবিদদের মতে, মুতার যুদ্ধ ছিল খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)-এর সামরিক প্রতিভার এক চূড়ান্ত প্রদর্শনী। তিনি যখন সেনাপতির দায়িত্ব নেন, তখন মুসলিম বাহিনী ছিল সংখ্যায় নগণ্য আর শত্রু ছিল বিশাল। কিন্তু একজন শ্রেষ্ঠ রণকৌশলী হিসেবে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মুসলিম বাহিনীকে বিন্যস্ত করেন এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকেও তাদেরকে নিরাপদে ও সুশৃঙ্খলভাবে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। তাঁর এই বিচক্ষণতা ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ নবী কারিম (সা.) তাঁকে এই সম্মানজনক উপাধিতে ভূষিত করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button