
মুহাম্মদ জুবাইর: চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় ‘ইসলামী সমাজ’এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর দাবি করেছেন, গণতন্ত্র, গণআন্দোলন, সেনা ক্যু কিংবা সশস্ত্র লড়াই কোনোটিই ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য ঈমানদারদের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের কুরআন-সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি নয়। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্র আল-কুরআন বিরোধী বিধানের ওপর দাঁড়ানো একটি ব্যবস্থা এবং এর অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন “ইসলামের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়”এ ধরনের দাবি উত্থাপন করেন তিনি।
শনিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল খালেক মিলনায়তনে “ইসলাম ও মানবতা বিরোধী সকল ব্যবস্থার মূলোৎপাটন এবং বৈষম্যমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র গঠনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি” শীর্ষক আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলার দায়িত্বশীল মোঃ জামাল উদ্দিন।আমীর হুমায়ূন কবীর বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ হলো ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে দাওয়াত কবুলকারীদের নিয়ে সমাজ গঠন আন্দোলন। তিনি দাবি করেন, রাসূল (সা.)এর মক্কা থেকে মদিনা পর্যন্ত আন্দোলন ছিল ধৈর্য, দাওয়াত ও নেতৃত্বের আনুগত্যে ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠনের ধারাবাহিকতা,যেখান থেকে শেষে আল্লাহর পক্ষ থেকেই রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব প্রদান করা হয়েছিল।তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পরই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামবিরোধী আইন অপসারণ এবং প্রয়োজনীয় সময়ে সশস্ত্র লড়াই বৈধ হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের আগেই এ ধরনের পদক্ষেপের অনুমোদন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

‘ইসলামী সমাজ’ আমীরের দাবি, সংগঠনটি একই আদর্শে দাওয়াতভিত্তিক সমাজ গঠন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং “উপযুক্ত সময় এলে” ইসলামবিরোধী আইন পর্যায়ক্রমে অপসারণ করে ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে তাদের এ পথে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় বক্তব্য দেন মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, আমীর হোসাইন, মোঃ রুহুল আমীন, মোঃ হুমায়ূন কবির, গুলজার আহম্মদ, মোঃ রমজান আলী, ওসমান গণি ও হাফেজ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় অঞ্চল–১ এর দায়িত্বশীল মোঃ আজমুল হক।



