
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় একটি রাজনৈতিক দলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও বিশৃঙ্খলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ ছয় শীর্ষ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়।
শোকজ নোটিশপ্রাপ্ত নেতারা হলেন—গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব বায়েজীদ বোস্তামি জ্বীম, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান ও শাকিল শেখ এবং সংগঠক অতনু সাহা ও মেহজাবিন জ্বীম।
কেন্দ্রীয় কমিটির চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৫ ডিসেম্বর গাইবান্ধায় একটি রাজনৈতিক দলের কমিটিকে কেন্দ্র করে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুতর এবং এর ফলে জনমনে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এমতাবস্থায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সভাপতি রিফাত রশিদের দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। একইসঙ্গে তদন্ত চলাকালীন বা পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তাদের সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৫২ সদস্যবিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খুদিকে আহ্বায়ক করার প্রতিবাদ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতারা। এরই জেরে গত ৪ ডিসেম্বর এনসিপির জেলা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা, যা পরবর্তীতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্ম দেয়।
শোকজের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে যদি আমাদের অপসারণ করা হয় কিংবা ‘সন্ত্রাসী’ ট্যাগ দেওয়া হয়, তবে আমরা সেই ট্যাগ মেনে নিতে প্রস্তুত। তবুও আমরা কোনোভাবেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের সঙ্গে আপস করব না।’’



