খিলক্ষেতে রেলওয়ের জমি দখলে রাজনৈতিক প্রভাবের দাপট, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

অপরাধ বিচিত্রা ডেক্স :ঢাকা উত্তর সিটির খিলক্ষেত এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল নিয়ে রাজনৈতিক পরিচয়ের বেপরোয়া ব্যবহার নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সরেজমিন তথ্য অনুযায়ী, একশ্রেণীর রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের খাসজমি দখল করে দোকানপাট স্থাপন, অবৈধ নির্মাণ ও চাঁদাবাজি দো কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজনৈতিক পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেই এই দখলদাররা রাষ্ট্রের সম্পদকে ব্যক্তিগত আয়–উপার্জনের উৎসে পরিণত করেছেন। অনেকেই চক্রটির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান—সম্মানহানি, হামলা বা হয়রানির শঙ্কায়।
রেলওয়ের জমি রাষ্ট্রের সম্পদ—কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নয়। সরকারি জমি দখল আইনত অপরাধ এবং জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী। এ কারণে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নেতৃত্বের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। কিছু রাজনৈতিক নেতার বক্তব্যেই উঠে আসে সরকারি জমিকে ‘সরকারকেই দখল করতে দেবেন না’—যা স্ববিরোধী এবং আইনশৃঙ্খলার জন্য উদ্বেগজনক। এলাকাবাসীর দাবি, খিলক্ষেতে কিছু নেতা নিজেদেরকে এলাকার একচ্ছত্র কর্তৃত্বশালী হিসেবে ভাবছেন এবং সেই প্রভাবের জোরেই দখলদাররা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।
স্থানীয় মানুষের আশা—রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদ রক্ষায় সকল রাজনৈতিক ব্যক্তি দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে এবং খিলক্ষেতে রেলওয়ের জমি দখল বন্ধে প্রশাসন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।



