অন্যান্যঅপরাধআইন ও বিচারআইন, ও বিচারগাজীপুর

মোমেলা জেলে থাকলে ও থেমে নেই জমজমাট মাদক ব্যবসা 

এম এ মান্নান: বাংলাদেশর রাজধানী শহরের উত্তরা পাশেই শিল্পনগরী টঙ্গীর ব্যাংকের মাঠ বস্তিকে মাদকের হাট বলা হয় থাকে যেখানে দিনে বেলায়ই মানুষ ডুকার সাহস পায়না  । এই মাদকের হাট নিয়ন্ত্রণ করেন মাদক সম্রাজ্ঞী মোমেলা।ব্যাংকের মাঠ বস্তিতে চলে মাদকের রমরমা কারবার। থানা প্রশাসনের মাদকবিরোধী অভিযান ও কড়া নজরদারিতেও থেমে নেই মাদক ব্যবসায়।

ব্যাংকের মাঠ বস্তির মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশির ভাগ নারী, তাদের মধ্যে মোমেলা অন্যতম। মোমেলা মাদ্রকসম্রাজ্ঞী মাদকের কারবার করে গড়েছেন বিপুল সম্পদ, গাড়ি-বাড়ি। তার পরও থাকতেন টঙ্গীর ব্যাংকের মাঠ বস্তিতে।টঙ্গীর ব্যাংকের মাঠ বস্তিতে রমরমা বিক্রি হচ্ছে মাদক। তবে খুবই সতর্কতার সঙ্গে অপরিচিত কারও কাছে মাদক বিক্রি করেন না ব্যবসায়ীরা। মাদক সম্রাজ্ঞী মোমেলা একাধিক বার পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল খেটেছেন বর্তমানে ও তিনি অপরাধ বিচিত্রা’য় সংবাদ প্রকাশের পর গত কয়েক দিন আগে গ্রেফতার হলে ও মাদক ব্যবসা বন্ধ নেই ।বর্তমানে তার স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর মাদক ব্যবসা চলমান রেখেছেন। গোপন সুত্রে জানা যায় জাহাঙ্গীরের সাথে বর্তমানে বিএনপি নেতা নামধারী কিছু অসাধু চক্রের শেল্টার এ বানিজ্য রমরমা করে তুলেছেন। 

গোপন সুত্রে আরো জানাযায় মোমেলা ৩/৪ টি আলীশান বাড়ির মালিক এবং বিপুল পরিমান টাকা মালিক।টঙ্গীর আলোচিত মাদকসম্রাজ্ঞী মোমেলা বেগম (৪০)। থাকতেন মাদক অধ্যুষিত টঙ্গীর কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ বস্তিতে। 

এক যুগ ধরে বস্তিতে বসে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। তাতে গড়ে তুলেছেন কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। খোদ টঙ্গীতেই রয়েছে মোমেলার তিনটি অলিশান বাড়ি ও একাধিক গাড়ি। একাধিক বাড়ি-গাড়ি থাকা সত্ত্বেও বস্তি ছাড়েননি মোমেলা। মাদক মামলায় একাধিকবার জেল খেটে জামিনে বের হয়ে ফের বস্তিতে গিয়ে ওঠেন তিনি। সেখানে বসে আবার চালিয়ে যান মাদক ব্যবসা আওয়ামী লীগের সময় স্থানীয় সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতা ও প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এক যুগ ধরে চলিয়েছেন মোমেলা বেগমের মাদক সাম্রাজ্য।

জাতি জানতে চায় বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা নেই কিন্তু এখন কারা শেল্টার দেয় মোমেলার এ ব্যবসা। আবার পুলিশ বস্তির আশেপাশে প্রায় ঘুরতে দেখা গেলে নেই। কোন প্রতিকার আবার কেউ কেউ বলছে পুলিশ সহ প্রশাসনকে মেনেস করেই চালিয়ে যাচ্ছে এ বানিজ্য সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে গাজীপুরের টঙ্গী মাদকের স্বর্গ। ৫ আগস্ট দেশ আবার নতুন করে স্বাধীনতা পেলেও বন্ধ হয়নি গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার মাদক ব্যবসা। আরো জানা যায়  ৫ ই আগস্টের পর মোমেলা বেগম খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির কতিপয় নেতার ছত্রছায়ায় চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা বানিজ্য।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় চালান ও দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিলের চালান টঙ্গীর ব্যাংক মাঠ বস্তিতে নিয়ে আসেন মোমেলা বেগম। এরপর ছোট ছোট চালানে সেসব পৌঁছে দেন টঙ্গী ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়।

স্থানীয় প্রশাসনের মাদক ব্যবসায়ীদের নামের তালিকার শীর্ষে রয়েছে মোমেলা বেগমের নাম।

মোমেলা মাদক বিক্রির টাকায় টঙ্গীতে কিনেছেন তিনটি বাড়ি। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের মরকুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কুদ্দুস খলিফা রোডে ‘জাহিদ হাসান ভিলাথ নামে একটি বহুতল বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে তার। একই ওয়ার্ডের শিলমুন পূর্বপাড়া যুগীবাড়ি রোডে মাতৃকোল সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির স্বপন মাস্টারের কাছ থেকে ক্রয় করে  অর্ধকোটি টাকার একটি বাড়ি। পুবাইলের করমতলা পূর্বপাড়া আবাসিক এলাকায় পৌনে ৪ কাঠা জমির ওপর একটি আধাপাকা বাড়ি রয়েছে তার। ব্যাংক মাঠ বস্তিতে রয়েছে একাধিক আধাপাকা ঘর।মোমেলা তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে কিনে দিয়েছেন চারটি মিনি ট্রাক ও সিএনজি।

মেয়ের জামাই পুলিশের কথিত সোর্স হৃদয়কে কিনে দিয়েছেন ২০ লাখ টাকা দামের একটি প্রাইভেটকার। এ ছাড়া টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মোমেলার রয়েছে নামে-বেনামে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। সূত্র জানায়, ২০১০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোমেলার বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানা, গাজীপুর ডিবি, র‍্যাব ও গাজীপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ১৭/২০টি মাদক মামলা রয়েছে।এ বিষয়ে জানতে মোমেলার স্বামী জাহাঙ্গীরকে মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওহেদুজ্জামান বলেন, আমার থানা এলাকায় সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা রি-কভার করে কিছু দিন পূর্বে মোমেলাকে গ্রেফতার করেছি । কিন্তু তার স্বামীর সহ বস্তির মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যপারে তথ্য সংগ্রহ চলছে প্রত্যেকের নামে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। খুব শিগগির ব্যাপক আকারে মাদকবিরোধী অভিযান হবে টঙ্গীর বস্তিগুলোতে।থ এ ছাড়া নিয়মিতই মাদকসহ গ্রেফতার করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button