বিএনপি-জামায়াত ও নাগরিক পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর বর্বরোচিত হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুইজন করে প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত আছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এবং মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিত্ব করছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও, রাজনৈতিক মহল ধারণা করছে যে শুক্রবার বিজয়নগরে ওসমান হাদির ওপর যে প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে, তা নিয়েই মূলত আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।
এর আগে শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে পানির ট্যাংকি এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে ওসমান হাদিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
এই হামলার পরপরই শুক্রবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘‘ওসমান হাদির ওপর এই হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। এটি দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর পরাজিত শক্তির সুপরিকল্পিত আঘাত।’’ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার মতো এমন দুঃসাহস কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না এবং যেকোনো মূল্যে এই অপশক্তির চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেওয়া হবে।



