অনুসন্ধানঅপরাধঅভিযানজাতীয়তল্লাশি

রাউজানের মসজিদ মাদ্রাসার পাশে রহস্যজনক ব্যাগ, তল্লাশিতে মিলল দুইটি দেশীয় পাইপগান

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় জনবহুল এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় তৈরি দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কদলপুর এলাকা থেকে দুটি দেশীয় তৈরি পাইপগান উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো মসজিদ ও মাদ্রাসার পাশেই ফেলে রাখা হয়েছিল, যা স্থানীয়দের মাঝে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় যে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন কদলপুর ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার গুন্না হাজীর খালি ভিটার পূর্ব পাশে মাইজপাড়া তৈয়বিয়া জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সাইনবোর্ড সংলগ্ন দানবাক্সের পাশে একটি শপিং ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় দুটি দেশীয় তৈরি পাইপগান পড়ে আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৫০ মিনিটে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি অভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে উক্ত স্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা দুটি দেশীয় তৈরি পাইপগান উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রগুলো নিরাপদে জব্দ করে র‌্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। র‌্যাব জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কোনো সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র অথবা অপরাধীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রগুলো সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, মসজিদ ও মাদ্রাসার আশপাশে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যাওয়ায় তারা আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।বিশেষ করে শিশু ও ধর্মপ্রাণ মানুষের চলাচলপূর্ণ স্থানে অস্ত্র ফেলে রাখা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা। তারা অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানায়, উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাউজান থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, অস্ত্রগুলো কারা, কী উদ্দেশ্যে সেখানে রেখে গেছে এবং এর পেছনে কোনো অপরাধমূলক পরিকল্পনা ছিল কি না।

র‌্যাব আরও জানায়, চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাস দমনে তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেকোনো ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button