
নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর ধারাবাহিক সহিংস হামলার প্রতিবাদে এবং প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এক বিশাল প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ই ডিসেম্বর (শনিবার) বিকালে আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবিদিঘীর মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। বক্তারা বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে শুক্রবার দুপুরে এবং গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাকে গণসংযোগকালে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো দেশব্যাপী গণতন্ত্র ও নির্বাচনমুখী পরিবেশকে ভয়াবহভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ভিন্নমত দমনের উদ্দেশ্যে এ ধরনের সহিংস হামলা পরিচালিত হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা ও নির্লিপ্ত ভূমিকা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলছে। তারা অবিলম্বে এসব হামলার পেছনে জড়িত প্রকৃত দুস্কৃতিকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা–কর্ণফুলী আসনে বিএনপির ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী, আলহাজ্ব সরওয়ার জামাল নিজাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, দেশবাসী আজ নিরাপদ রাজনীতি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। সন্ত্রাস, গুলি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জনগণের ভোটাধিকার দমন করা যাবে না। জনগণ এসব ঘটনার জবাব ব্যালটের মাধ্যমেই দেবে। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, সত্য কখনো চাপা থাকে না। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এসময় আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান ও ব্যানার, ফেস্টুন বহন করে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান।সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।



