জাতীয়রাজনীতি

আনোয়ারায় যুবলীগ নেতাকে বিএনপির উঠান বৈঠকে দেখা যাওয়ায় তীব্র সমালোচনা

নিজস্ব সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় একটি রাজনৈতিক উঠান বৈঠককে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার উপস্থিতি। সম্প্রতি আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত বিএনপির এক উঠান বৈঠকে স্থানীয় যুবলীগের এক নেতাকে প্রকাশ্যে অংশ নিতে দেখা গেছে, যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা সরকারকে বিএনপির নেতা সরওয়ার জামাল নিজামের পক্ষে আয়োজিত একটি উঠান বৈঠকে অংশ নিতে দেখা যায়। ‘আনোয়ারা সদর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত ওই মতবিনিময় সভায় সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভায় যুবলীগ নেতার সরব উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে নির্যাতন, মামলা ও দমন-পীড়নের শিকার হয়ে মাঠে টিকে থাকা নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিতর্কিত নেতাদের বিএনপির কর্মসূচিতে জায়গা দেওয়া হচ্ছে, যা দলের আদর্শ ও ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।

এদিকে, কয়েকদিন আগে একইভাবে আনোয়ারা উপজেলার এক মহিলা সমাবেশে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজিয়া বেগমকে বিএনপির নেতা সরওয়ার জামালের পক্ষে আয়োজিত একটি সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। পরপর দুটি ঘটনায় বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ আরও বেড়েছে।

স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়া বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন যখন দেশ পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিএনপির কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে অংশগ্রহণ উদ্বেগজনক। তারা মনে করেন, এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়তে পারে।

সচেতন নাগরিকরা বিএনপি নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে এবং অতীত ভূমিকা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সঙ্গে তারা বলেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করলে ভবিষ্যতে সাংগঠনিক সংকট আরও গভীর হতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button