ঢাকা বিভাগ

গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া যুবলীগ হাফিজুল বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানা প্রতারণা মামলা: অবিলম্বে গংঙ্গের গ্রেপ্তারের দাবি

হাবিব সরকার স্বাধীন: উত্তরা পূর্ব থানা বহুরূপী গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া যুবলীগের হাফিজুরের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা। হাফিজুর রহমান হাফিজুর প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে সর্বস্বান্ত  করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২০ সাল প্রতারণা করতে গিয়ে গণধোলাই শিকার হয় হাফিজুর।  উত্তরা পূর্ব থানায়  মামলা চলমান। মামলা নং ৪/১১৬ তাং ৭সেপ্টেম্বর ২০২০। সি আর নাম্বার ২১৬/২০২০/ ধারা ৪১৯/

পেনাল কোড। তথ্যসূত্রে আরও জানা যায় চুরির অপবাদে ৩/১১/২৫/গণধোলাই শিকার হন প্রতারক ওরফের চোরা হাফিজুর । অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ভুয়া “সাংবাদিক” পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, হয়রানি ও বিভিন্ন অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে হাফিজুর রহমান হাফিজ গংয়ের বিরুদ্ধে। হাফিজুর এর অপকর্ম ধামাচাপা দিতে রয়েছেন উত্তরার কথিত  সাংবাদিক অর্থাৎ  হকার জাহাঙ্গীর নামে চিহ্নিত। উত্তরা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় হকার নামে চিহ্নিত জাহাঙ্গীর। এখন তিনি সাংবাদিক তৈরি করতে পারে স্থানীয় ভুক্তভোগী। প্রতারক হাফিজুরের  বিষের তথ্য জানতে খিলক্ষেত প্রেসক্লাব–সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানিয়েছেন, হাফিজ ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বেকারি, ডেইরি ফার্ম, ও দোকানে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। এমনকি দোকানে খেয়ে বিল দিতে চায়না। এখন নাকি তুমি মস্ত বড় সাংবাদিক। 

অভিযোগে বলা হয়, তারা কখনো ডিআইজির পরিবারের পরিচয়, কখনো র‌্যাব বা থানার কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতেন। স্থানীয়রা জানান, হাফিজ গং প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে ভুয়া পরিচয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতেন এবং আপত্তিকর বা ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করতেন।

খিলক্ষেত প্রেসক্লাব সূত্রে জানা যায়, হাফিজ কিছুদিন প্রেসক্লাবের অফিসে অবস্থান করতেন এবং পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন। ওই সময় চুরির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।আশেপাশের দোকানে ক্লাব পরিচয় হুমকি দিয়ে থাকেন। প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, বিভিন্ন অসদাচরণের কারণে তাকে বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া যুবলীগের দপ্তর  সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজকে বের করে দেয়ার বিষয়টি জানার পর অফিসের ড্রয়ার থেকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা, দুটি চেক ও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিখোঁজ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

প্রেসক্লাব কর্মকর্তারা দাবি করেন, হাফিজ নিজেকে বিভিন্ন সময় প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য বা উর্ধ্বতন কর্মকর্তা–কর্মচারীর আত্মীয় হিসেবে পরিচয় দিতেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ ও অভিযোগিত অসদাচরণ

এলাকার কিছু ব্যবসায়ী জানান, হাফিজ গং প্রেসক্লাবের নাম ভাঙিয়ে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি ও ব্যবহার করতেন। কেউ বিষয়টি জানতে চাইলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং কখনো কখনো হুমকি দেওয়া হতো। অভিযোগ রয়েছে—তিনি বলেন, প্রয়োজনে খিলক্ষেত প্রেসক্লাব “জ্বালিয়ে দেওয়া হবে” সভাপতিকে ঘুম করে ফেলবে এবং আরো নানান হুমকি।

কিছু স্থানীয় বাসিন্দা দাবি করেছেন, তিনি নিয়মিত বাজারে অবস্থান করতেন এবং কখনো সাংবাদিক, কখনো প্রেসক্লাব সদস্য, কখনো বিভিন্ন সংগঠন বা আধিকারিকের আত্মীয় পরিচয় দিতেন। এসব পরিচয় দিয়ে কথিত প্রতারণা বা চাঁদাবাজির চেষ্টা করা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

৩ ডিসেম্বরের ঘটনা: গণধোলাই

৩ ডিসেম্বর ২০২৫ দুপুরে খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের সামনে একটি চায়ের দোকানে কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করতে গেলে কয়েকজন ভুক্তভোগী ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে গণধোলাই দেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অন্যান্য অভিযোগ

কিছু সূত্রে আরও অভিযোগ রয়েছে—তিনি মাদকসংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং কিছু অসামাজিক (দেহব্যবসার) মত কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

প্রেসক্লাবের অভিযোগে থানার পদক্ষেপ খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক থানার ওসির নিকট সরাসরি গিয়ে অভিযোগ দিলে পুলিশ জানায়, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। অভিযোগগুলো যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button