অন্যান্যঅপরাধজাতীয়দুর্নীতি

ফ্যাসিস্টের দোষর অতিরিক্ত পরিচালক নৌ সংরক্ষন আব্দুস সালাম বহাল তবিরতে

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্কঃ ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ দুর্নীতিবাজ শেখ হাসিনার দোসর (বিআইডব্লিউটির) অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুস সালাম কোন কুটির জোরে এখনো তার চাকরিতে চাকুরীতে বহাল আছেন, জনমনে ও বিআইডব্লিউটির অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশ্ন| তবে কি এই দুর্নীতিবাজ, তার দুর্নীতির মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কি পরিচালকের পদে বহাল আছেন? এই আব্দুস সালাম, আরেক দুর্নীতিবাজ ও আওয়ামী লীগের দোসর, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ খন্দকার গোলাম ফারুককে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে, মাসিক সাংস্কৃতিক সমাচার বৈশাখীর নভেম্বর ২০২২ সংখ্যায় প্রকাশ করেন মর্মে জানা যায়| (বিআইডব্লিউটির) অতিরিক্ত বর্তমান পরিচালক মোঃ আব্দুস সালামের ভাই মোঃ রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আব্দুস সালাম সরকারি চাকরি করা সত্ত্বেও সরাসরি আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ছিলেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়|

আওয়ামী লীগের দোসর দুর্নীতিবাজ আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে নৌ-সংরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ (১৫-১১-২১) ইং সালে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর- তার লাগামহীন দুর্নীতির একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছিলেন (উক্ত অভিযোগ পত্রটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান বরাবর অনুলিপি পাঠান)|

সেখানে সকলের পক্ষ হয় অভিযোগ কারী আব্দুল খালেক, আব্দুস সালাম (০১৭১১২৪৬০২৬১) কিছু ফিরিস্তি তুলে ধরেন| অতি দুঃখের সহিত জানাইতেছি আব্দুস সালাম জয়েন ডাইরেক্টর সদরঘাট শাখায় অতিরিক্ত পরিচালক পদে জয়েন্ট হওয়ার পর থেকে তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করে মাওয়া ঘাট, আরিচা ঘাট এবং সদরঘাট শাখার মাধ্যমে যে সমস্ত কাজগুলো যেমনঃ পল্টন মেরামত, ঘাটের কিছু কাজকর্ম তদারকি না করে টাকার মাধ্যমে বিল দিয়ে ঠিকাদারদের মাধ্যমে বহু সম্পদ ও গাড়ি বাড়ির মালিক হয়ে যান| নামে বেনামে ব্যাংকে অটেল সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে, তার একাধিক গাড়ি রয়েছেন, মাঝেমধ্যে নিজে ব্যবহার করেন অপরদিকে ভাড়ায় চালিত হয় তার গাড়ি|

যমুনা ফিউচার পার্ক-বসুন্ধরা সিটির সাথেই এই দুর্নীতিবাজের ৬-তলা বিশিষ্ট ২ ইউনিটের একটি বাড়ি আছে, বাড়িটির ৩-তলায় দই ইউনিটে আব্দুস সালাম নিজে থাকেন, বাকি সব ফ্ল্যাট হিসাবে ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন, বাড়িটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা| বাড়িটির হোল্ডিং নম্বর (১৫৩), আব্দুল জলিল সড়ক জগন্নাথপুর ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের সামান্য উত্তরে বসুন্ধরা সিটির সাথে| এমনকি ব্যাপক হারে দুর্নীতি করার সুবিধার্থে, সদরঘাট অফিসের সাইনবোর্ডে লেখা আছে, আব্দুস সালাম জয়েন ডাইরেক্টর, তিনি মাসে ২-৩ দিন অফিসে যায় কিনা সন্দেহ আছে| তার অধীনস্থ কর্মচারী কর্মকর্তা এবং পিয়ন-কেরানী জানিয়েছে, অফিসে আসা-যাওয়া কেবল তার ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে, আব্দুস সালামকে কিছুই বলার কারো কোন ক্ষমতা নেই| আব্দুল সালামের অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি দুর্নীতি দমন কমিশন দিয়ে তদন্ত করলে তার সমস্ত দুর্নীতি দিবালোকে বেরিয়ে আসবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button