অপরাধঢাকা বিভাগদুর্নীতি

আব্দুল্লাহ আল মামুন গং এর কুকীর্তি সীমাহীন অপপ্রচারের তদন্ত চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ

হাবিব সরকার স্বাধীন: দৈনিক আমার প্রানের বাংলাদেশ পত্রিকার সাইনবোর্ডের অন্তরালে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে আব্দুল আল মামুনের বিরুদ্ধে। মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।কয়েকজন ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

খিলক্ষেত নিকুঞ্জ হাউস নং ৮ রোড নং ৮ বসে এখন আব্দুল আল মামুনের নতুন প্রতারণার ফাঁদ। উত্তরা আতঙ্কের নাম আব্দুল আল মামুন। ১৮ আসন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম আব্দুল আল মামুন। প্রাণের বাংলাদেশ নামকরণ করা হলেও শুধু তিক্ততা, বৈরিতা, জাল-জালিয়াতি, প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ, ভূমি দস্যূতা ও বিল্ডার্স কোম্পানীর নামে আমজনতা কে সর্বশান্ত করার অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভোগীরা। একইসাথে এই পত্রিকা থেকে  অসংখ্য অযোগ্য ব্যক্তিকে টাকার বিনিময়ে পরিচয়পত্র প্রদান করে হলুদ ও চাঁদাবাজ  সাংবাদিকতার জন্ম দেওয়া হচ্ছে বলেও সাম্প্রতিক সময়ে মাছরাঙা টিভির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। জানা গেছে  প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকাটি অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাদের  টার্গেট পরিপূর্ণ করতে বিল্ডার্স কোম্পানীর মোড়কে ফ্লাট দেওয়ার চুক্তি করে কয়েক ডজন মানুষকে পথে বসিয়েছে। এই তালিকায় একাধিক নারী ভিকটিমও রয়েছেন।  যাদের কাছ থকে আব্দুল্লা আল মামুন টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ব্লাক মেইলিং করেন।নারীর মূল্যবান সতীত্বও হরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী নারীরা।  এভাবে তিনি দিনের পর দিন অর্থ হাতানো ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে জায়েজ করতে ইতোমধ্যে ১৩ বার পত্রিকা অফিসের ঠিকানা বদল করেছেন। যা জাতীয় পর্যায়ের মূলধারার সংবাদমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের সমালোচনার  খোরাকে পরিণত করছেন। রাজধানীর অধিকাংশ মহল্লার বাড়ি মালিকরা তার এই অভিনব ক্যারেকটর বুঝে ফেলার পর তাকে এখন কেউ আর অফিস বাসা ভাড়া দিতে চাইছেনা বিধায় তিনি এখন উত্তরখান এলাকায় ঘাঁটি গড়ার প্রাণন্ত অপচেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। এখানে তার সকল অপকর্মের সেকেন্ড ইন কমান্ড  কাজী মাসুম নামের এক ভূমি দস্যূকে প্রাণের বাংলাদেশের কার্ড প্রদান করে কথিত সাংবাদিক সাজিয়ে মূলতঃ ডেভলপার ব্যবসার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে টাকা লুটপাটের প্লাটফর্ম প্রস্তুত করা হয়েছে। খিলক্ষেত নারী ও শিশু হসপিটাল প্রতারণার আরো কাহিনী শেষ নাই। উত্তরখানে একখণ্ড জমির ওপর ” মা বাবার দোয়া” নামের কনস্ট্রাকশন কোংঃ খুলে ৯ তলা বিল্ডিং করার চমক দেখিয়ে দু’ডজন মানুষকে নিঃস্ব করা নায়ক আব্দুল আল মামুন।এই বিল্ডিং দুইতলার কাজ চলাকালীন সময়ে কাজ বন্ধ রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ তারা গ্রাহকদের প্রতারণামূলক কানামাছি খেলছে।

(সংবাদ প্রকাশ হয় আব্দুল আল মামুন জানেন না!!)

পরিকল্পিত মিথ্যাচার, তথ্য বিকৃতি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে সামাজিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। অভিযুক্তদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার সহযোগী হাফিজুর রহমান হাফিজ গং নাম উঠে এসেছে। তাদের এই ধারাবাহিক অপকর্ম ইতোমধ্যে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক হাবিব সরকার স্বাধীন জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে তিনি পেশাদারিত্ব ও সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করে আসছেন। বর্তমানে তিনি খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। অথচ এই পরিচয় ও সম্মান ক্ষুণ্ন করতেই আব্দুল্লাহ আল মামুন উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।অভিযোগে বলা হয়, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও হাফিজুর রহমান হাফিজ গং গোপনে হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়াতে শুরু করে। দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ ও  অনলাইনসহ একাধিক প্ল্যাটফর্মে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হয়।সবার কাছে আব্দুল আল মামুনের তদবি পরিকল্পিত উদ্দেশ্যমূল। কয়েকজন প্রতিবেদন জানিয়েছেন সংবাদ প্রকাশ করতে আব্দুল আল মামুন টাকা অফার করেন। তথ্যসূত্র জানা যায়।  অভিযুক্তরা খিলক্ষেত প্রেসক্লাব ও আশপাশের বিভিন্ন দোকানে লোক পাঠিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে আসছে। এবং মিথ্যা গল্প ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেন। এতে সাংবাদিকের ব্যক্তিগত ও পেশাগত নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে পূর্বেও সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় করার অভিযোগ রয়েছে। মারেন কেলেঙ্কারি প্রতারণা মূল নায়ক আব্দুল আল মামুন। যাত্রাবাড়ী থানার একটি পুরোনো মামলা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বর্তমান ঘটনায় জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী। মাছরাঙ্গা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার সহযোগীদের কুকীর্তি উঠে আসায় বিষয়টি এখন আর গোপন নেই। তথাকথিত তথ্যের আড়ালে প্রকৃতপক্ষে চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলিংই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভুক্তভোগী সাংবাদিক বলেন, “এটি শুধু আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়, এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত।” তিনি দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সচেতন মহলের মতে, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার এই প্রবণতা রোধে প্রশাসনের অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অন্যথায় ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এমন অপরাধচক্র।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button