নওগাঁয় ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা” প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আঃ মজিদ মান্দা নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুরাইয়া ফৌজি নাজনীন সুলতানা নামে এক ভুক্তভোগী।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) উপজেলার ৫নং রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী সুরাইয়া ফৌজি নাজনীন সুলতানা বলেন, হাজী মফিজ উদ্দীনের ১৯৪৭ সালে ওয়াকফ সম্পত্তি তাঁর একমাত্র ছেলে ময়েন উদ্দিনের নামে (উইল) করে দেন। কিন্তু মফিজ উদ্দীনের ৬ কন্যা সন্তানের ওয়ারিশগণ সেই সম্পত্তি জবরদখল ও বিক্রি করেই চলেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দখলীয় জমিগুলো বর্গা চাষীদের কাছে দেওয়া ছিল। সে জমির ধান বিঘা প্রতি ৬ মন হারে দেওয়ার কথা থাকলেও সেলিম রেজা ও তার লোকজনের প্ররোচনায় তাঁরা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাঁর দাবি, ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছ। তাদের বিরুদ্ধে আদালত ১৪৪/৪৫ ধারা জারি করলেও তাঁরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জমি জবরদখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সেলিম ও রহিম গংরা বিভিন্ন সময়ে আমার ভাই ও আমাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে আসছেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সেলিম রেজা বলেন ,আমরা জোরপূর্বক কোন কিছুই দখল করিনি। হাজি মফিজ উদ্দীনের ৬ কন্যা সন্তান ও এক ছেলে ময়েন উদ্দিন সরদারের নামে ১৯২১ সালের একটি দলিলে অংশ বন্টন করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা ওয়ারিশ সূত্রে সেগুলো ভোগদখল করছি।
খুব সহসাই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে (নিয়ামতপুর-মান্দা) সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো আদালতের বিষয়। আদালত যদি আমাদেরকে কোন নির্দেশনা প্রদান করে তাহলে আমরা এটি ব্যবস্থা নিতে পারব।
তিনি আরো বলেন তবে যদি কেউ কোন ধরনের ফৌজদারি অপরাধ সংগঠিত করার চেষ্টা করে এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



