সিএমপি ডিবি পশ্চিম বিভাগের বিশেষ অভিযানে দুর্ধর্ষ চুরির রহস্য উদঘাটন

মুহাম্মদ জুবাইর
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি-পশ্চিম) এর বিশেষ অভিযানে কোতোয়ালী থানাধীন আসকারদিঘীর পূর্বপাড়া এলাকায় সংঘটিত আলোচিত দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে।অভিযানে একটি চোরচক্র গ্রেফতারসহ চুরিকৃত ল্যাপটপ,চোরাই স্বর্ণ বিক্রির টাকায় ক্রয়কৃত একটি মোটরসাইকেল এবং নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে আসকারদিঘীর পূর্বপাড়ায় রিচ নাহার বিল্ডিংয়ের ৭ম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে অজ্ঞাতনামা চোরেরা প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও একটি ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম পূরবী বিশ্বাস গত ১৬ ডিসেম্বর কোতোয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলা নং-২৬/২০২৫ (ধারা ৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড) রুজু হয়।
মামলা রুজুর পর ডিবি (পশ্চিম) এর একটি চৌকস টিম ছায়াতদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ,তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং. নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে টাইগারপাস এলাকা থেকে মো. জসিম (৪৩) ও মোস্তাকিন হোসেন মিঠু (৪২) গ্রেফতার হন।তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চুরির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় এবং জসিমের বাসা থেকে একটি চুরিকৃত HP ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে অভিযুক্তদের তথ্যের ভিত্তিতে আনোয়ারা ও পটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের আরেক সদস্য সেতু দাস প্রকাশ সালাহ উদ্দিন (৩২) গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, চোরাই স্বর্ণ বিক্রির অর্থ দিয়ে একটি নতুন Royal Enfield মোটরসাইকেল ক্রয় করা হয়। তার দেখানো মতে মোটরসাইকেলটি এবং নগদ ৬০,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও স্বর্ণ বিক্রির সঙ্গে জড়িত মো. ইসমাইল (৩০) কে নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টেরিবাজার এলাকায় স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান চালানো হলে অভিযুক্ত দোকানদার পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতার ও চোরাই স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



