
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে পৌরসভার জামালপুর রোড এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চিকিৎসকদের চেম্বার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।স্বাস্থ্যসেবা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান চলাকালে মানবসেবা মেডিকেল হলে গিয়ে দেখা যায়,একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নিজের নামের পূর্বে ‘ডাক্তার’ পদবী ব্যবহার করছেন।অথচ ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিধারী না হলে কেউ এ উপাধি ব্যবহার করতে পারেন না।এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালের মেডিসিন কর্নারের ফার্মেসিতে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মজুত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।এতে রোগীদের গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ অনুসারে ফার্মেসি মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সঙ্গে গ্রামীণসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, ষসেখানে রোগীদের বিভিন্ন টেস্টের টাকা নিলেও বাস্তবে অন্য প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট সরবরাহ করা হয়। ষএছাড়া প্রতিষ্ঠানের পরিবেশও ছিল অপরিচ্ছন্ন। যা ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী এবং নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম।
অন্যদিকে নাহিদ ডেন্টাল কেয়ারে গিয়ে দেখা যায়, ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট নিজেকে ‘ডেন্টিস্ট’ পরিচয় দিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রোগীদের বিভ্রান্ত করছেন।
উক্ত অপরাধসমূহের প্রেক্ষিতে গ্রামীণসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নাহিদ ডেন্টাল কেয়ারের মালিককে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে ১০ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন মধুপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া। প্রসিকিউশন প্রদান করেন মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সজীব কান্তি পাল।
অভিযানে সহযোগিতা করেন লেফটেন্যান্ট সায়েমের নেতৃত্বে মধুপুর সেনাক্যাম্পের একটি টিম।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কোনোভাবেই রোগীদের সাথে প্রতারণা বা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির সুযোগ দেওয়া হবে না।



