প্রয়াত সাংবাদিক রিমনকে স্মরণ: ‘তিনি ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে এক বলিষ্ঠ কণ্ঠ’

বিশেষ প্রতিনিধি: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় দেশের অন্যতম পরিচিত মুখ, প্রয়াত সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের স্মরণে এক সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা (মাসাস)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রিমন ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের পথে এক আপসহীন কণ্ঠস্বর, যার লেখনী সমাজের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলত।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় এক আদর্শের নাম
বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি)-এর প্রতিষ্ঠাতা সাঈদুর রহমান রিমনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন মাসাস-এর চেয়ারম্যান মীর্জা ফসিহ্ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “রিমন শুধু একজন সাংবাদিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তার সততা, নিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন মনোভাব তাকে সাংবাদিক সমাজে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে তার অবদান অবিস্মরণীয়।”
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা, দেশপত্র পত্রিকার সম্পাদক ও বিএসসি নেতা জুয়েল খন্দকার বলেন, রিমনের শূন্যতা সাংবাদিকতা জগতে সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তিনি তরুণ সাংবাদিকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের স্মৃতিচারণ
অনুষ্ঠানে সাঈদুর রহমান রিমনের সহকর্মী ও বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা তার কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন—বিএসসি নেতা সোহাগ আরেফিন, মাসাস-এর আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মিঠু, কুমিল্লা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, দীপ্ত টিভির প্রতিনিধি শাকিল মোল্লা, গাজী টিভির প্রতিনিধি মহিউদ্দিন ভূঁইয়া, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি তরিকুল ইসলাম তরুণসহ আরও অনেকে। বক্তারা তার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দোয়া ও মোনাজাত
আলোচনা সভা শেষে সাঈদুর রহমান রিমনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই গাজীপুরে একটি অ্যাসাইনমেন্টে কর্মরত অবস্থায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন এই দেশবরেণ্য সাংবাদিক। তার অকাল প্রয়াণ দেশের সাংবাদিকতা জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করে।



