খুনকে ঢাকতে তালিমের নামে খিচুড়ি আয়োজন

এম এ মান্নান : বলছিলাম কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার আলোচিত নজরুল হত্যার কথা দেহটি কে টে খ’ণ্ড খ’ণ্ড করে বাজারের ব্যাগের ভেতর ভরে নদীতে ফেলে দেয়, তালিমের নামে খিচুড়ির আয়োজন করেন ঘা ত ক দুই খু নি স্বামী-স্ত্রী
শুধু স্বামী-স্ত্রী মিলেই কী নজরুল ইসলামকে হ ত্যা করেছে? এখন সেই দেহ নিয়ে চলছে কঠিন হিসাব। চার খ’ণ্ড দেহটি আবার হয়ে গেলো ছয় খ’ণ্ড দেহ ও মাথা নিয়ে হবে কয় খ’ণ্ড! সারারাত জেগে থেকেও হিসাব মিলাতে গিয়ে খেতে হবে হিমশিম। কারণ, বাকী অংশ গুলো হয়নি এখনো উদ্ধার। আর বাকী অংশ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত হিসাব যেনো গরমিল। তিতাসের মজিদপুর ইউনিয়নের শাহাবৃদ্ধি গ্রামের হানিফ ভূইয়ার পুত্র নজরুলকে গত ৬ আগস্ট ডেকে এনে হ ত্যা করে মজিদপুর মধ্যে পাড়া গ্রামের মজু মিয়ার পুত্র সিএনজি চালক মোহাম্মদ হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার।
তাকে হ ত্যার পর হোসেন তার ঘরে তালিমের আয়োজন করেন এবং তালিম শেষে খিচুড়ি খাওয়ানো হয় সবাইকে । এর আগেই চতুর হোসেন ধুয়া মাজা করে ঘর করেছিলো পরিষ্কার। যেনো খুনের কোন প্রমাণ বা চিহ্ন না থাকে ঘরে। কিন্তু সত্যটা তো কোন না কোন ভাবেই হবে প্রকাশ। খু নিরা তো জানতেন ও না যে, নজরুলকে ডেকে আনার পর তাকে খোজাখুজি করে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ জিডি করে রেখেছিলেন তার বাবা হানিফ ভূইয়া। সেই জিডি অনুযায়ী পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যমে খু নি হোসেনকে সনাক্ত করে। এরপরই হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে আ টক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গ্রে প্তার দম্পতি হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতির স্বীকারোক্তি ছিলো-তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজন মিলেই নজরুল ইসলাম ভূইয়াকে হ ত্যা করে তার দেহ চার খ’ণ্ড করে চারটি বাজারের ব্যাগের ভেতরে ভরে বাড়ীর উত্তর পাশের নদীতে ফেলে দেন। পুলিশ সেই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত রবিবার দিনভর খু নি হোসেনের বাড়ির পাশের নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে একটি বাজারের ব্যাগ উদ্ধার করে।আর সেই ব্যাগে ছিলো নি হ ত নজরুল ইসলাম ভূইয়ার কা টা দু’টি হাত।
আর গতকাল সোমবার রাত সাড়ে এগারোটায় মজিদপুর ইউনিয়নের বালুয়াকান্দির নদীতে ভাসমান অবস্থায় আরেকটা বাজারের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। সেই ব্যাগের ভেতর থেকে নজরুল ইসলামের দুটি পায়ের চারটি টু ক রো অংশ উদ্ধার করেন পুলিশ। নি হত নজরুল ইসলাম ভূইয়ার দেহের ছয়টি টু ক রো দেখে এলাকাবাসীর মনে আরও সন্দেহ বেড়ে যায়। তাঁদের ধারণা এই বি ভ ৎ স, নৃ শংস ও ভ য়া ব হ এই হ ত্যাকাণ্ড এই ক সাই দম্পতির একার কাজ হতে পারে না।
তাদের আশঙ্কা, পূর্বপরিকল্পিত এই কি লিং মি শনে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। টু ক রো টু ক রো করে হ ত্যা র এ ঘটনা বিকৃত ম স্তি ষ্কে র ঘৃ ণ্য তম উদাহরণ বলে আখ্যা দিয়েছেন তারা। জড়িতদের দ্রুত গ্রে প্তার ও ফাঁ সি র দাবিতে রাস্তায় নামার কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্ষু ব্ধ জনতা। আর এই হ ত্যা কা ণ্ডের ঘটনা নিয়ে
সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় পরকীয়া শব্দ উল্লেখ করে রিপোর্ট করায় এতে নেটিজেনদেরমন্তব্য উঠে আসে কমেন্ট বক্সে। তাদের কেউ কেউ বলছে যে এটা কোন ভাবেই পরকীয়া হতে পারে না। মূল ঘটনাকে আড়াল করার উদ্দেশ্যেই এধরণের পরকীয়া শব্দ উচ্চারণ করে যাচ্ছে খু নি মোহাম্মদ হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার।
কিন্তু এর রহস্য খোঁজে বের করতে পারলেই বোঝা যাবে এর সঙ্গে কে কে রয়েছে জড়িত। আর তারা কী আড়ালেই থেকে যাবে। সেই রহস্য নিয়েই মানুষের মধ্যে নতুন করে চলছে নানাহ হিসাব নিকাশ।



