রাষ্ট্রীয় তহবিল অপব্যবহার: শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার

ব্যক্তিগত সফরে রাষ্ট্রীয় অর্থ খরচের অভিযোগ; বাংলাদেশেও ড. ইউনূসের বিদেশ সফর নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাষ্ট্রীয় তহবিলের বিপুল অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করে। গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা গ্রহণ করা এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যক্তিগত বিদেশ সফরকে রাষ্ট্রীয় দেখিয়ে জনগণের অর্থের অপচয় করেছেন।
যে অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন রনিল
শ্রীলঙ্কার সিআইডি জানিয়েছে, রনিল বিক্রমাসিংহের গ্রেপ্তারের মূল কারণ ২০২৩ সালের একটি যুক্তরাজ্য সফর। সে সময় তিনি কিউবায় অনুষ্ঠিত জি৭৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে দেশে ফেরার পথে লন্ডনে যাত্রাবিরতি করেন এবং ইউনিভার্সিটি অব ওলভারহ্যাম্পটনের একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অভিযোগ উঠেছে, এই সফরটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত হলেও এর সমস্ত খরচ রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে বহন করা হয়েছিল।
তদন্তে আরও বেরিয়ে এসেছে, ৭৬ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে তাঁর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে মোট ২৩টি বিদেশ সফরে যান। এই সফরগুলোর পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি শ্রীলঙ্কান রুপি (যা প্রায় ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য)।
বাংলাদেশেও রাষ্ট্রপ্রধানের বিদেশ সফর নিয়ে বিতর্ক
রনিল বিক্রমাসিংহের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিদেশ সফর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
একটি মহল অভিযোগ তুলেছে, ড. ইউনূস গত এক বছরে প্রায় ১২টি দেশে সফর করেছেন, যাতে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই সফরগুলো দেশের জন্য তেমন কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে ব্যক্তিগত পুরস্কার গ্রহণের মতো অনুষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় সফরের মর্যাদা দিয়ে জনগণের অর্থের অপচয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করেছেন, রাষ্ট্রীয় পদে থেকে ব্যক্তিগত কাজে জনগণের অর্থ ব্যয়ের মতো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত।



