চান্দিনায় দুই বাসের মাঝে পিষ্ট হয়ে হেলপারের মৃত্যু, থামছে না মহাসড়কের কান্না

এম এ মান্নান
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হেলাল চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় পরিবহন সংস্থা ‘পাপিয়া সার্ভিস’ বাসের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অল্প বয়সেই তিনি পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাউদকান্দি থেকে ছেড়ে আসা পাপিয়া সার্ভিসের একটি বাস চান্দিনা-বাগুর স্টেশনে থেমে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছিল এবং হেলাল বাসের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রী ডাকছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আল-বারাকা পরিবহনের একটি বাস ব্রেক ফেল করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
নিয়ন্ত্রণহীন বাসটি প্রথমে একটি রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে দেয় এবং এরপর পাপিয়া সার্ভিসের বাসটির পেছনে ধাক্কা মারে। এই ধাক্কার তীব্রতায় পাপিয়া বাসটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বাসের সাথে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে দুই বাসের মধ্যে আটকা পড়ে ঘটনাস্থলেই হেলালের মৃত্যু হয়। তবে ভ্যানচালকসহ অন্য কোনো যাত্রী হতাহত হননি।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আল-বারাকা পরিবহনের বাসটির ব্রেক ফেল করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে পাপিয়া সার্ভিসের হেলপার ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি উদ্ধার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
নিহত হেলালের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। স্থানীয়রা জানান, হেলাল তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। জীবিকার তাগিদে অল্প বয়সেই তিনি পরিবহন শ্রমিকের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ বেছে নিয়েছিলেন।



