
মোঃ মাসুদ হোসেন
জাতীয় ঐক্য জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও ইসলামী জনকল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে এবং জাতীয় ঐক্য জোটের সমন্বয়কারী মুখপাত্র ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেনের পরিচালনায় জাতীয় ঐক্য জোটের অর্গানাইজিং কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, সরকারের ঘোষিত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব নাও হতে পারে।
এর প্রধান কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণকে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে শপথ নিয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিটির কার্যক্রম আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার জীবন হুমকির মুখে। সরকার এখনো জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি।
নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, আগে সকল গণহত্যার বিচার করতে হবে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে এবং নতুন সংবিধানের জন্য গণভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা যাবে। অন্যথায়, এই মুহূর্তে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব হবে না। তারা আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পুরোনো ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতিতে হবে, নাকি নতুনভাবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
নেতৃবৃন্দ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠানের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন এবং চলমান সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্য জোটের উদ্যোগে একটি জাতীয় সংলাপ আয়োজনের পরামর্শ দেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় ঐক্য জোটের উদ্যোগে একটি জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে। উক্ত সংলাপে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিটির প্রধান, দেশের সকল নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, শ্রমিক, কৃষক, পেশাজীবী-বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়, যার মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন: ইসলামী ঐক্যের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ নতুন ধারা জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল আহাদ নূর, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুনুর রশিদ খান, গণআজাদি লীগের চেয়ারম্যান আতাউল্লাহ খান আতা, বাংলাদেশ ইসলামী দলের মহাসচিব হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমজীবী পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন আব্দুল কাদের জিলানী, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান শাহ আলম তাহের, ইসলামী বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ভাসানীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।



