অন্যান্য

জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের  মাদ্রাসায় ছড়াবে কুরআনের আলো

অপরাধ বিচিত্রা ডেক্স : জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম মোরশেদ স্যার ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ দিকে আমাকে তিনি একটি হাফেজিয়া  মাদ্রাসা করার পরামর্শ দিলে তখন আমি অপরাধ বিচিত্রা কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলাম। এ বিষয়টি মাথায় উক্ত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবু জাহের সাহেব যিনি আমার পিতা ছিলেন। ওনার সাথে পরামর্শ করে তাত্ক্ষণিক মাদ্রাসা ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। 

পরে আমি স্যারের সাথে মাদ্রাসার নামের বিষয় পরামর্শ করি তখন অত্র মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমান সোহেল সাহেবের সাথে নামের বিষয় আলোচনা করলে তিনি নুরে মদিনা হিফজুল কুরআন মডেল মাদ্রাসা নামটি স্যারের নিকট পাঠানো হলে তিনি সকলের সাথে পরামর্শ করে চুড়ান্ত করেন। এবং আলহাজ্ব এসএম মোরশেদ চেয়ারম্যান জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন স্যার উপস্থিত থেকে ১৭ রমজানে ইফতার মাহফিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাদ্রাসা শুভ উৎবোধন হয়।  

২০২৪ সালের রমজান মাসে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণ পাড়া উপজেলার ২ নং শিদলাই ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডে মরহুম আবদুল আজিজ মাষ্টারের বাড়ীতে সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে স্থাপিত হয়। তার পর থেকে আজ প্রায় ১৮ মাস মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছি আমি ও আমার স্যার উক্ত মাদ্রাসা। 

বর্তমানে মাদ্রাসাটি সুনামের সাথে চলমান রয়েছে যার মধ্যে ০৮ জন কোরআন পড়ছে। ৫ জন কুরআন সবক নিবে, এবং  ০৭ জন, ০৮ জন কায়দা পড়ছে।

যে এলাকায় মাদ্রাসা স্থাপিত হয়েছে :

ব্রাহ্মণ পাড়া উপজেলার ২নং শিদলাই ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে নিম্ন আয়ে মানুষ বসবাস এ ওয়ার্ডে যেখানে শিক্ষা হাড়ছিল খুবই সাধারণ। এবং ঐ এলাকার মানুষের আয়ের উৎস বেশি ভাগই কৃষির ওপর নির্ভর করে। যদিও কেউ কেউ তাদের বাচ্চা নিয়ে চিন্তা করেন। তাহলে তারা ভাবেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার সন্তানটিকে ভর্তি করিয়ে দিবেন। এবং অধিকাংশ পরিবারই তাই করেন। 

আবার কেউ কেউ মাদ্রাসায় লেখা পড়া করানোর ইচ্ছে থাকলে ও মাদ্রাসা শিদলাই বাজার সংলগ্ন হওয়ায় আগ্রহ কমেযেত এবং ঐ এলাকার ছোট ছোট সোনামনিরা সারাদিনই দূষ্ঠামির মধ্যেদিয়ে দিন অতিবাহিত করত। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পড় হইতে আর ঐ এলাকার রাস্তা গাঁটে এখন আর কোন বাচ্চা ছেল খোঁজে পাওয়া যায় না। 

বর্তমানে মাদ্রাসা পরিচালনা করতে গিয়ে প্রতি মাসে দুইজন শিক্ষকের বেতন দিতে হয় ১২০০০/= বার হাজার টাকা, প্রতিমাসে ছাত্রের নিকট হইতে আদায় হয় ৪৫০০-৬০০০ টাকা। এবং দুইজন শিক্ষকের খাওয়া দাওয়া ভাবত আনুমানিক ১২০০০টাকা।বিদুৎ বিল হিসেবে প্রতিমাসে ১০০০-১২০০ টাকা।   

বর্তমানে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে আরো রয়েছে  লেখালেখি, গবেষণা-আলোচনা, সভা-সেমিনারে লেকচার, নানামুখি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা, উন্মুক্ত ইসলামিক প্রোগ্রাম ও প্রশ্নোত্তর মূলক অনুষ্ঠানে। বহুমুখী সেবামূলক কাজে সপ্রতিভ গুণী ও স্বনামধন্য এই আলেমেদ্বীন।

কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে আয়োজনে রয়েছে  ও দাওয়াহ— ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবু জাহের নিজেই প্রতি শুক্রবারে কবরবাসীর রুহের মাগফেরাতের জন দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।বর্তমানে সাংবাদিক এম এ মান্নান উক্ত মাদ্রাসা পরিচালনা ভার বহন করে আসছেন’। নুরে মদিনা হিফজুল কুরআন মডেল মাদ্রাসাটি সময়োপযোগী নানা উদ্যোগ নিয়ে সর্বমহলে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছে।

বর্তমানে মাদ্রাসাটি দক্ষ হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমান সোহেলের তত্ত্ববধানে  দক্ষতা ও যোগ্যতার কারণে সুনাম অর্জন করেছে । 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button