আরটিভি ও যুগান্তর’র কুমিল্লা প্রতিনিধি আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান অব্যাহত

এম শাহীন আলম: দেশের সুনামধন্য পত্রিকা সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় আবুল খায়েরের সম্পদ নিয়ে সংবাদের পর টনক নড়েছে দূর্নীতি দমন কমিশনের। দীর্ঘদিন দৈনিক যুগান্তর ও আরটিভিতে সাংবাদিকতার আড়ালে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন আবুল খায়ের। এসব অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করেছে।
গত বুধবার (৪ মে) দুদকের কার্যালয়ের অনু ও তদন্ত -৫ উপপরিচালক ওমর ফারুকের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তা নিশ্চিত হওয়া যায়।
আবুল খায়ের দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, দুদকের প্রধান কার্যালয়, ১ সেগুনবাগিচা, ঢাকা থেকে স্মারক নং- ০০.০১.১৯০০.৬২৫.০১.২৩৫.২৫/কুমিল্লা/২৮২৮৯, তারিখ ৪/৫/২০২৫ অনুযায়ী, অভিযোগটির গুরুত্ব বিবেচনায় কমিশন এটি তদন্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এই অনুসন্ধান কার্যক্রমের সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে: ১) পরিচালক ( স্বতন্ত্র অনুসন্ধান সেল), দুদক, প্রধান কার্যালয়ের স্মারক নং-০০.০১.০০০০.৫০৩.২৬.১৩১.২৫-৯৮৫, তারিখ ১৯/০৩/২০২৫; ২) দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার ই/আর নং-মণ/তদন্ত-২/২৩৫/২০২৫/কুমিল্লা, তারিখ ২৫/০৩/২০২৫।
দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে উপপরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংশ্লিষ্ট অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রমটি দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করবেন।
এই চিঠির অনুলিপি নিম্নোক্ত কর্মকর্তাদের সদয় অবগতির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে: ১. পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-৫), দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; ২. পরিচালক (দৈনিক ও স্বতন্ত্র অনুসন্ধান সেল), দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; ৩. পরিচালক (পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ), দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা; ৪. পরিচালক, দুদক, বিভাগীয় কার্যালয়, চট্টগ্রাম।
এ বিষয়ে অনু ও তদন্ত -৫ উপপরিচালক ওমর ফারুক জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পর মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



