মদনপুর ভূমি কর্মকর্তা রোকেয়া মানসিক ভারসাম্যহীন-নায়েব জাহাঙ্গীর স্ট্রোকের রুগি, অফিস চালাচ্ছেন পিওন

কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে
স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ মদনপুর ইউনিয়ন বন্দর ভূমি অফিস যেন সেবার পরিবর্তে জনসাধারণের ভোগান্তির কেন্দ্রস্থল। এলাকার হাজার হাজার ভুক্তভোগীরা সেবা না পেয়ে নিত্যদিনের সমস্যা নিয়ে তিলে তিলে ধ্বংস হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ভূমি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। অপরদিকে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যে চলছে রমরমা ব্যবসা। কর্মকর্তা রোকেয়া বেগম এবং নায়েব জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রোকেয়া মানসিক ভারসাম্যহীন রুগী। এই রোকেয়া বেগম, জেলা প্রশাসনের কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ইউনিয়ন ভূমি সহ-কারী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পান। রোকেয়া বেগম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে তিন মাসের ছুটি নিয়ে বর্তমানে খোলা আকাশে জীবন যাপন করছেন। জানা যায়, প্রায় এক বছর যাবত ভূমি অফিসের কোন কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস করেন না। অপরদিকে একই ভূমি অফিসের, নায়েব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন কোন সপ্তাহে একদিন অথবা কোন সপ্তাহে অফিসেই আসেন না। সপ্তাহের পুরো দিনই থাকে তালাবদ্ধ, অফিস চালাচ্ছেন কেরানী ও কম্পিউটার অফারটার এবং পিয়নরা মিলে। আবার এই নায়েব জাহাঙ্গীর স্ট্রোকের রুগি! গত ২৪ সালের আগস্ট মাসে মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন নায়েব হিসেবে যোগদান করেন, মদনপুর ইউনিয়ন বন্দর ভূমি অফিসে। এ বিষয় নায়েব হোসেনের পার্সোনাল নাম্বারে ফোন দিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো নিয়মিত অফিস করি এখনও অফিসে আছি।

অফিস চলাকালীন অবস্থা
আমার বিরুদ্ধে এগুলি মিথ্যা অভিযোগ বা রং কথা, এক প্রশ্নেরজবাবে তিনি বলেন, অনিয়ম দুর্নীতির দায় আমি এড়াতে পারবো না। তিনি আড়াইহাজার থেকে এসে মদনপুরে যোগদান করেন। নায়েব জাহাঙ্গীর হোসেন একাধিকবার হার্ট স্ট্রোকের কারণে, তার কথা কিছুই বুঝা যায় না। তিনি এখন সরকারি চাকুরি করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে, তার চাকুরি শারীরিক যোগ্যত নেই বললেই চলে। তিনি কোন এক সমন্বয়কের সুপারিশে এই ভূমি অফিসে পোস্টিং পান। প্রাচ্যের ডান্ডি খাত বন্দর উপজেলার সবচেয়ে বেশি শিল্প কলকারখানা এই ইউনিয়নের অন্তর্গত।
জাহাঙ্গীর নায়েব এই অফিসে বদলি হয়ে আসার পর থেকে রুবেল নামে একজনকে হেল্পিংহ্যান্ডহিসেবে নিয়োগ দেন। রুবেল এই সুযোগে আর এস রেকর্ড বইসহ বিভিন্ন রেকর্ড বইয়ে কাটা ছেঁড়া, ঘষা মাজা করে, সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্য করে পালিয়ে যান। অফিসের কেউ কেউ বলেন রুবেলের সঙ্গে ঘোষ বাণিজ্যে হিসাবে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নায়েব ও সহ-কারী নায়েবও রয়েছেন।

অফিসের দরজা এভাবেই বন্ধ থাকে
এ বিষয়ে এসি ল্যান্ড জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও বিহিত ব্যবস্থাগ্রহণে, তার ঊর্ধ্বতনদেরকে রাজি করাতে পারেননি। গত ১২/৮/২৫ অপরাধ বিচিত্রার প্রতিবেদক, এডিসি জেনারেল (অতিরিক্ত চলতি দায়িত্ব) রেভিনিউর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ডিসি সাহেবের সঙ্গে আলাপ করেন, দ্রুতই ব্যবস্থা নিব। এক বছর থেকে অফিস এভাবেই চলছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের জনস্বার্থে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকার সেবা বঞ্চিতদের আকুল আবেদন।



