আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের নৃশংস হামলা, রাতভর অভিযানে গ্রেপ্তার ১০২
অভিযানে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত এক পুলিশ সদস্য। হামলার মূল হোতা হিসেবে জনি ও রনির নাম উল্লেখ করেছে পুলিশ।
ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর আদাবর থানা এলাকায় পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। সোমবার রাতে এই হামলায় এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত না হয়ে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং রাতভর চিরুনি অভিযান চালিয়ে ১০২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযানে গিয়ে হামলা
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (গতকাল) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকার একটি গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করতে যায় আদাবর থানা পুলিশের একটি দল। অভিযানের খবর পেয়ে স্থানীয় কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এই অতর্কিত হামলায় পুলিশ সদস্য আল-আমিন গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাতভর অভিযান ও গণগ্রেপ্তার
সহকর্মীর ওপর হামলার খবর পেয়ে আদাবর থানার পুলিশ সদস্যরা তৎক্ষণাৎ পুরো এলাকায় অভিযান শুরু করে। রাতভর পরিচালিত এই অভিযানে এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে ১০২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
চক্রের মূল হোতাদের শনাক্ত
পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে আদাবর এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত জনি ও রনি। তাদের নেতৃত্বে নাজির, ওসমান, দাঁতভাঙা সুজন, কবজিকাটা হৃদয় এবং মাদক ব্যবসায়ী রাজুসহ একটি বড় দল এই হামলায় অংশ নেয়।
ওসি এস এম জাকারিয়া আরও বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উৎসঃ প্রথম আলো ।



