পঞ্চগড়ের আলোচিত রফিকুল হত্যাকাণ্ড: মূল আসামি গ্রেপ্তার

মো. এনামুল হক: পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট বাজারে একটি পরিত্যক্ত স’মিল থেকে রফিকুল ইসলাম ডুবু (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আরমান ইসলাম আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা জানান, গত ৫ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ দিবাগত রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৪ নম্বর কামাত-কাজলদিঘী ইউনিয়নের টুনিরহাট বাজারে মাহাবুব আলম প্রধানের একটি পরিত্যক্ত কাঠের স’মিলের বারান্দায় রফিকুল ইসলাম ডুবুকে গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়। এই ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস)-এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম মামলাটি নিয়ে কাজ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামি আরমান ইসলাম আজাদকে (২৬) গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার সময় হাড়িভাসা ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরমান ইসলাম আজাদ টুনিরহাট প্রধানপাড়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, ঘটনার দিন (৫ আগস্ট, ২০২৫) রাত আনুমানিক দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে ঘটনাস্থল টুনিরহাট বাজারের বিআরটিসি কাউন্টারের পাশের ওই স’মিলে তারা তাস (জুয়া) খেলছিল। একপর্যায়ে আরমান খেলায় জিতে গেলে বাজির টাকা নিয়ে রওনা দেয়। এ সময় পেছন থেকে রফিকুল ইসলাম তার কাছে থাকা একটি কাটারি দিয়ে আরমানের পিঠে আঘাত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরমান কাটারিটি কেড়ে নিয়ে রফিকুলের গলায় প্রথমে পোঁচ দেয় এবং পরে তাকে মাটিতে শুইয়ে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
আসামি আদালতে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, পঞ্চগড় জেলায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলমান রয়েছে।



