
অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: ঝিনাইদহে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এক সরকারি কর্মকর্তা গাছ কেটে সেগুলো গায়েব করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের পশ্চিম পাশে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক গবেষণাগার অবস্থিত, যেখানে কৃষকদের জমির মাটি পরীক্ষা করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, এই ইনস্টিটিউটের সীমানার ভেতর থেকে প্রায় ১২-১৪টি গাছ কাটা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকার বেশি। কেটে ফেলা গাছ ও ডালপালা কোথায় রাখা হয়েছে বা কী করা হয়েছে, সে বিষয়ে কেউ নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, ভ্যান ভর্তি করে এই গাছ অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীমানাপ্রাচীরের ভেতর থেকে অনেকগুলো গাছ কাটা হয়েছে। কাটা গাছের গোড়া ও গুঁড়ি এখনো সেখানে পড়ে আছে। কিছু গাছ মাটি খুঁড়ে কাটা হয়েছে, সেখানে গর্ত হয়ে আছে। কিছু গাছের ছাঁটা ডালপালাও পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে একজন অফিস সহকারী বাধা দেন। তিনি বলেন, “স্যার এখন ভেতরে ব্যস্ত আছেন। আপনি এখানে বসুন। স্যার অনুমতি দিলে দেখা করতে পারবেন।”
প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক গবেষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শারমিন রহমানের সঙ্গে দেখা হয়। অফিসের সীমানার ভেতর থেকে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি কোনো গাছ কাটিনি। কয়েকটি মরা গাছ পড়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল, সেগুলো পরিষ্কার করেছি। এখানে অনেক নতুন গাছ লাগানোর কারণে কিছু অর্জুন গাছের ডালপালা ছেঁটে দিয়েছি। তাছাড়া আমি কোনো গাছ কাটিনি।”
তিনি আরও বলেন, “নিজেদের অফিস সীমানা পরিষ্কার করার জন্য কোনো টেন্ডার লাগে না। তাছাড়া অফিসের একটি বিদ্যুতের খুঁটি গাছের ওপর পড়ে গিয়েছিল, যার কারণে কয়েকটি গাছ কেটে দিতে হয়েছে মাত্র।” – এই বলে তিনি গাছ কাটার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।



