গাজীপুরে বিতর্কিত কুমিল্লার এসপি নাজির আহমেদ এর যোগসাজশেই ওসি মহিনুল বেপরোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রক্তাক্ত বিপ্লবের পর পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদ সমূহে বির্তকিত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়াকে কেন্দ্র রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে চরম বিতর্ক আর ক্ষোভের আবাস পাওয়া গেছে। পেশাদার, সৎ ও কর্মঠ আওয়ামীলীগ সরকারের ১৫ বছরের ক্ষমতাকালীন সময়ে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের রেখে খুন-গুমসহ নানা অনৈতিককাজে সম্পৃক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম,সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন এর সহযোগীদের পদায়ন নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনাও। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের নানা অপকর্মের সহযোগী খ্যাত এসপি মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানকে কুমিল্লা জেলার এসপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসনে রয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ আর সমালোচনা। অভিযোগ রয়েছে এসপি নাজির আহমেদ জুলাই বিপ্লবের সময় গাজীপুরের ডেঞ্জার কিলার খ্যাত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে পুলিশের অসংখ্য অস্ত্র তুলে দিয়েছিল ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ঠেকানোর জন্য। এবং কি এই এসপি নাজির আহমেদ নিজেও সরাসরি ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে রুখে দিতে হাসিনার গদি ঠেকাতে গুলি ছুড়ে ছিলেন আন্দোলনের ছাত্র জনতার উপর এমনটাই গাজীপুর বাসীর অভিযোগ। পরে ছাত্র-জনতা জাহাঙ্গীরসহ এসপি নাজির আহমেদ এর উপর আক্রমণ করলে সে গাজীপুর থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। পরিস্থিতি শান্ত হলে নিজের কূকর্ম ঢাকতে টাকার বিনিময়ে রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে পুনরায় গাজীপুর থেকে কুমিল্লার এসপি হিসেবে নিয়োগ পেয়ে পুনরায় আলোচনায় আসেন নাজির আহমেদ।
এসপি নাজির আহমেদ এর অপকর্ম নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখির পর প্রবাসে অবস্থানরত অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন নাজির আহমেদ এর পক্ষে কিছু লেখা তার ফেসবুক পোস্টে প্রকাশ করেন এবং এসপি নাজির আহমেদকে অভয় দিয়ে সাংবাদিক ইলিযাস হোসাইন আশ্বস্থ করে লিখেন ” খান সাহেব, (নাজীর আহমেদ খান, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার) আওয়ামীলীগের পেইজে আপনার বিরুদ্ধে এই পোস্ট করেছে! তার মানে আপনি সঠিক পথে আছেন৷ চালিয়ে যান, পাশে আছি, কাজে লাগলে আওয়াজ দিয়েন ” সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের এই পোস্টের পর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বর্তমান কুমিল্লার পুলিশ সুপার যেন বেপরোয়া। বিতর্কিত এই আওয়ামী দোসর এসপি নাজির আহমেদ এর আস্কারায় কুমিল্লা কোতয়ালীর ওসি মহিনুল ইসলাম কুমিল্লায় যোগদানের পরে থেকেই এসপি নাজির আহমেদ এর যোগসাজশে বেপরোয়া। এসপি নাজির আহমেদ এর আস্কারায় ওসি মহিনুল ইসলামের মামলা বাণিজ্য থেকে রেহাই পায়নি পেশাদার সাংবাদিক, বিএনপির রাজনৈতিক নেতা,রাজমিস্ত্রী সহ সাধারণ মানুষ।
কুমিল্লা সদর ওসি মহিনুল ইসলামের অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিক নিউজ হওয়ার বিষয়টি সারা দুনিয়া জানলেও এসপি নাজির আহমেদ নাকি কিছুই জানেন না এমনটাই সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর সাথে কথোপকথনে উঠে আসে। প্রশ্ন হলো যেখানে তিনি কুমিল্লা সদরের ওসির বিষয়ে খোঁজ রাখেন না,সেখানে তিনি বাকি আরো ১৬ টি থানা সামলাবেন কিভাবে?
সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর সাথে এসপি নাজির আহমেদ এর মোবাইল কথপোকথনে কুমিল্লায় ক্যান্টনমেন্ট এবং আলেখারচর এলাকায় হোটেল তিতাস এবং হোটেল আপন আবাসিক নামের দুটি আবাসিক হোটেলের আড়ালে মাদকের আড্ডাখানা সহ পতিতার ব্যবসা বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে বলেন,বিগত দিন গুলোতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তো এবং আরো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। অথচ ইদানীং হোটেল দুটি বিরুদ্ধে একাধিক নিউজ করার পরও এসপি নাজির আহমেদ কিংবা ওসি মহিনুল হোটেল দুটির বিষয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এছাড়াও এসপি নাজির আহমেদকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে ৫ আগস্টের দিন একটি হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এই মিথ্যা মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক শাহীনকে বুঝাতে চেয়েছেন যে মামলা হয়েছে তো কি হয়েছে,তদন্তের মাধ্যমে যারা দোষী না তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে। প্রশ্ন হলো যে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র পুলিশের মামলা বাণিজ্যের অসৎ উদ্দেশ্যে মামলাটি রুজু করা হয়েছিলো সেই হত্যা মামলাটিই তো ছিলো ভুয়া এবং মিথ্যা। যেখানে মামলাটাই মিথ্যা সেখানে আবার কিসের তদন্ত? এই মামলাটি রুজু করার আগে হত্যার ঘটনায় মেডিকেল সার্টিফিকেট কি ওসি মহিনুল নিয়েছিলেন? এবং সাবেক ওসি ফিরোজ হোসেন এর কাছ থেকে কি জেনে ছিলেন যে ৫ আগস্ট – ২০২৪ সালে কোন হত্যার ঘটনা ঘটেছিলো কিনা? এমন খোঁজ খবর কি নিযেছিলেন এসপি নাজির আহমেদ কিংবা ওসি মহিনুল ইসলাম? যদি এসপি নাজির আহমেদ এর ভাষ্য অনুুযায়ী মামলাটির আসামী যাচাইয়ে তদন্তই করার কথা বলেছিলেন, তাহলে মামলা হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ৭ জন নিরহ লোককে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা কি অপরাধ নয়? পুলিশ বলে কি তাদের সব অনিয়ম জায়েজ। এই মিথ্যা গায়েবী মামলার ঘটনার দ্বায় কি এসপি নাজির আহমেদ আর ওসি মহিনুল ইসলামরা এড়াতে পারবেন?
গত ০১/০৯/২০২৫ তারিখে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসির মহিনুল ইসলামের মামলা বাণিজ্যের শিকার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত করিম মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম নামের এক প্রবাসী। গত ২০২৪ সালে আন্দোলনের সময় সাইফুল বাংলাদেশেই ছিলেন না বলে দাবী তার পরিবার সহ প্রতিবেশীদের।
অনুসন্ধান মতে, ওসি মহিনুল ইসলামের অনিয়মের বিরুদ্ধে নিউজ করার কারণে সাংবাদিক শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে ওসি মহিনুল ইসলামের যোগসাজশে আবাসিক হোটেলের এক পতিতাকে দিয়ে কুমিল্লার আদালতে একটি নারী নির্যাতন মিথ্যা মামলা করেন।
পরোক্ষণে এসপি নাজির আহমেদ এর কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে ঘায়েল করতে আরো একটি হত্যা মামলার আসামী দেখিয়ে সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন এসপি নাজির আহমেদ এর যোগসাজশে কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ওসি মহিনুল ইসলাম। বর্তমানে সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে হন্নে হয়ে খোঁজছে ডিবি পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত শুক্রবার রাতে ডিবি সহ যৌথবাহিনীর একটি আভিযানিক দল সাংবাদিক শাহীন আলম ঢাকার আশপাশ এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আসেন।
অন্যদিকে বহু অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে এবং কুখ্যাত পুলিশ কর্মকর্তা ডিবি হারুনের সহযোগী হিসেবে পরিচিত অতিরিক্ত ডিআইজি মো: দেলোয়ার হোসেনকে সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বদলি করা হয়েছে গত ১১নভেম্বর। এর আগে এই বির্তকিত কর্মকর্তা দু’দফা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মরত থেকে আওয়ামী সরকারের লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত ডিআইজি মো: দেলোয়ার হোসেনকে সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বদলি করার ঘটনায় এরই মধ্যে গাজীপুরের সাধারন মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর এসপি নাজির আহমেদকে কুমিল্লা জেলার এসপি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নাজির আহমেদ খান ২৭ তম বিসিএস (পুলিশ) কর্মকর্তা। নিজ জেলা: আলফাডাংগা, ফরিদপুর। এর আগে তিনি ডিসি (নর্থ), জিএমপি, আগস্ট, ২০২৪, ডিসি, ডিবি, জিএমপি (২০২৩ থেকে আগস্ট ২০২৪), ডিসি, (ট্রাফিক ওয়ারি), ডিএমপি (২০২২-২০২৩), ডিসি, (প্রকিউরমেন্ট এন্ড ওয়ার্কশপ), ডিএমপি (২০২২), এডিসি, (প্রকিউরমেন্ট এন্ড ওয়ার্কশপ), ডিএমপি (২০১৯-২০২২), এডিসি (লালবাগ) ডিএমপি, (২০১৬-২০১৯), সিনিয়র এসি, ডিএমপি, (২০১৫-২০১৬) এবং সিনিয়র এসপি, বগুড়া জেলা (২০১৩-২০১৫) কর্মরত ছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এসপি মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান ১৯৯৫-২০০১ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ক্যাম্পাস ছাড়ে ও লোক চক্ষুর অন্তরালে চলে যায়। পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তন হলে ২৭ তম বিসিএস এ ২য় বারের রেজাল্টে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ ক্যাডারে জয়েন করেন। এলাকায় জনশ্রুতি আছে তার বাবা আব্দুল গফুর খান কোনদিন মুক্তিযুদ্ধই করেননি। তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আওয়ামী স্বৈরশাসনের অন্যতম কারিগর, আলফাডাঙ্গার কুখ্যাত সন্তান ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার ক্যাশিয়ার ও পারিবারিক আত্মীয়। ২০১৪ সালের বগুড়া সিনিয়র এসপি অবস্থায় ভোটারবিহীন নির্বাচনকে ঠেকাতে বিরোধী দলের কার্যক্রম নষ্ট করার অন্যতম কারিগর। ২০১৮ সালে ঢাকার লালবাগ এলাকায় নিশি ভোটের মূল সমন্বয়ক। লালবাগ ও সূত্রাপুর এলাকায় কুখ্যাত হাজী সেলিমের সকল অপকর্মের সহযোগী। ডিসি, ডিবি হিসেবে গাজীপুরে ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে ন্যাক্কারজনকভাবে ভূমিকা পালন। চরম দূর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত। পুরো চাকুরীজীবনে আওয়ামী বিরোধী নেতা-কর্মীদের মামলা-হামলা, নির্যাতনের অত্যন্ত আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই দূর্নীতিবাজ, স্বৈরাচার আওয়ামী দোসর নাজির আহমদেকে কুমিল্লার এসপি করার জন্য তদবীর করেছেন জামায়াত নেতা তাহের।
গোয়েন্দা সংস্থার অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিএস পুলিশ ২১তম ব্যাচের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং গাজীপুর মহানগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী নিজেকে আওয়ামী প্রমাণ করার জন্য তার নামের পাশ থেকে এফিডেফিটের মাধ্যমে সাঈদী শব্দটি বাদ দিয়ে দেন। তিনি কুখ্যাত পুলিশ কর্মকর্তা ডিবি হারুন এর সহযোগী ছিলেন। হারুন যখন গাজীপুর জেলার এসপি ছিল তখন সাইদি তার অ্যাডিশনাল এস পি হিসাবে হারুনের টাকা সংগ্রহের কাজ করতেন। গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে জুয়ার বোর্ড বসিয়ে মাসোহারা নেয়া, রাতের অন্ধকারে মানুষের জমি জবরদখল করে, অন্যের জমিতে দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে অবৈধ দখল করতেন কুখ্যাত পুলিশ কর্মকর্তা ডিবি হারুন। আর এই কাজে তাকে সহায়তা করতেন দেলোয়ার হোসেন। এর পুরস্কার স্বরূপ হারুন তাকে পরবর্তীকালে জামালপুর জেলার এসপি পদে পদায়ন করে।
২০১৮ সালে রাতের ভোটের কারিগর এই দেলোয়ার হোসেন। সে সময় তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গাজীপুর মহানগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন কমিশনার মোল্লা নজরুলের ক্যশিয়ার হিসেবে কাজ করেন এই দেলোয়ার। উল্লেখ্য যে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে কমিশনার মোল্লা নজরুল দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার পেছনে টাকা পয়সার লেনদেন করেন এই দেলোয়ার হোসেন। তিনি তখন গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। উত্তরার দিয়া বাড়িতে নৌভুমি নামে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক এই দেলোয়ার হোসেন। গাজীপুরে তার বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের সময় বিরোধীদলের উপর অত্যাচার নিপীড়নের কারণে কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএমসহ একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হন। উল্লেখ্য স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময় যারা বিরোধীদলের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে এবং ভোট চুরি করে হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেছে তারাই এই পদকগুলো পেয়েছে। অনুসন্ধান তথ্য মতে এই কুখ্যাত পুলিশ কর্মকর্তা পুনরায় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে আবার গাজীপুর মহানগর পুলিশে পোস্টিং নিয়েছিলেন। এই আওয়ামী দোসর এসপি নাজির আহমেদ গত ২০২৪ এর জুলাই আগস্টের আন্দোলনের সময়ে হটাৎ আত্মগোপনে চলে যান। পরোক্ষণে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে স্বাভাবিক হলে কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্র-ছায়ায় প্রকাশ্যে এখন আওয়ামী দোসর পুলিশের এসপি নাজির আহমেদ। অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে আরো বিস্তারিত পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে।



