ইসলাম ধর্ম

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রোজা রাখা যাবে কি?

ইসলামিক ডেস্ক: সহিহ আকিদার আলোকে উত্তর

১. রোজা একটি ইবাদত – আর ইবাদত কেবল সেভাবেই করা যায়, যেভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) শিখিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন:

“তারা কি এমন অংশীদার স্থাপন করেছে, যারা তাদের জন্য দ্বীনের এমন বিধান দিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি?” (সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ২১)

২. রাসূল (ﷺ) ও সাহাবিগণ কখনো মিলাদ উপলক্ষে রোজা রাখেননি। নবিজি (ﷺ)-এর জন্মদিবস বা ১২ রবিউল আউয়ালে সাহাবিগণ কোনো বিশেষ রোজা পালন করেননি।

বরং রাসূল (ﷺ) নিজেই তার রোজা রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তাকে সোমবারের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন:

“ওই দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং ওই দিনই আমার ওপর ওহি নাজিল হয়েছে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬২)

অর্থাৎ, নবীজি (ﷺ)-এর জন্মের শোকরিয়া আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট দিন (সোমবার) রোজা রাখা সুন্নাহ; কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট তারিখ (যেমন ১২ রবিউল আউয়াল)-কে কেন্দ্র করে রোজা রাখা বিদআত।

৩. ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা বা এর উপলক্ষে কোনো বিশেষ ইবাদত পালন করা—এটি রাসূল (ﷺ), সাহাবি, তাবেঈন বা সালাফে সালেহীনের আমল ছিল না। বরং এটি ধর্মে পরবর্তীতে সংযোজিত একটি প্রথা, যা বিদআতের অন্তর্ভুক্ত।

সিদ্ধান্ত:
মিলাদুন্নবীর দিনে বিশেষভাবে রোজা রাখা জায়েজ নয়, কারণ এর কোনো ধর্মীয় প্রমাণ নেই এবং এটি একটি বিদআত। তবে নবীজি (ﷺ)-এর জন্মদিন হিসেবে প্রতি সোমবারে রোজা রাখা সুন্নাহ।

তাই, সহিহ আকিদা ও সুন্নাহ অনুসারে, মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রোজা রাখা যাবে না। বরং নবীজি (ﷺ)-এর শেখানো পদ্ধতিতেই ইবাদত করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button