অপরাধদুর্নীতি

বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কালোবাজারি রায়হানকে সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক এবং অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতায় উত্তরা আর্মি ক্যাম্পের একটি দল বিমানবন্দর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিমানবন্দর স্টেশনে কর্মরত সহকারী বুকিং মাস্টার রায়হানকে কালোবাজারির টিকিটসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোমানা (সুইটি) নামের এক ট্রেনযাত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ঢাকা-কক্সবাজার রুটের এসি বার্থ সিঙ্গেল কেবিনের নির্ধারিত মূল্য ৬,২৮৬ টাকা। কিন্তু অভিযুক্ত রায়হান ওই টিকিটের জন্য তার কাছে ১৫,০০০ টাকা দাবি করেন। রোমানা বলেন, “অতিরিক্ত টাকা চাওয়ার কারণেই আমি বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করি।”

আর্মি ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রায়হান টিকিট কালোবাজারির মূল হোতাদের নাম প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ব্ল্যাক টিকিট বিক্রির টাকার একটি অংশ স্টেশনের বড় মাস্টার (স্টেশন মাস্টার) শাহাদাত হোসেনকেও দেওয়া হয়। স্যার, আমি একা অপরাধী নই। বাংলাদেশ রেলওয়েতে আমার মতো আরও অনেকে এই টিকিট কালোবাজারি চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাদেরকেও ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। আমার ভুল হয়ে গেছে স্যার, আমাকে ক্ষমা করে দিন।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্টেশন মাস্টার শাহাদাত এবং তার অধীনস্থ কতিপয় টিসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় একাধিকবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। অভিযোগ রয়েছে, তদন্তের নামে ঘুষ বাণিজ্য চলে এবং মাস্টার শাহাদাত ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন যাবত একই স্টেশনে কর্মরত থাকার কারণে তারা বিভিন্ন অনিয়ম ও টিকিট কালোবাজারির সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এমনকি, স্টেশন মাস্টার শাহাদাতের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগও রয়েছে।

সুশীল সমাজ জানতে চায়, এই দুর্নীতির শেষ কোথায়?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button