
মোঃএনামুল হক: পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার সাধু পিতর গির্জা নিরামিষ মিশনের ফাদার আন্তনি সেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করেছেন গ্রামবাসী ও সাধারণ খ্রিস্টভক্তরা। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গির্জা নিরামিষ মিশনের সামনে যুবসমাজ হাতে বিভিন্ন ফেস্টুন নিয়ে নীরব প্রতিবাদ করে।
এ সময় কয়েকজন যুবক জানান, “ফাদার আন্তনি সেন আমাদের মিশনে আসার পর থেকে মিশনের কোনো উন্নতি হয়নি; বরং তিনি নানাবিধ বিষয়ে মনগড়া নিয়ম-নীতি তৈরি করে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। এর ফলশ্রুতিতে আমরা অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তার কাছে ধর্মীয় কোনো বিষয় অনিয়ম মনে হলে, অর্থের বিনিময়ে সেই সমস্যার সমাধান করতে হয়।”
উদাহরণস্বরূপ, ধর্মগ্রহণের সময়, বিবাহের সময়, প্রশিক্ষণের সময় এমনকি মৃত্যুর পর সৎকারের সময়ও তিনি টাকার বিনিময়ে ধর্মীয় কার্য সম্পাদন করেন। যারা সম্প্রদায়ে নতুন সদস্য হতে চান, তাদের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়। অথচ ফাদার আন্তনি সেন আসার পূর্বে উল্লিখিত বিষয়গুলোর জন্য এই গির্জায় কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন হতো না।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, “এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও কোনো ফলপ্রসূ সমাধান পাইনি। অভিযোগ রয়েছে, ফাদার আন্তনি সেন এই প্রতিষ্ঠানের সম্পদ অন্যত্র বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে অন্য জায়গায় উন্নয়ন করছেন, যা এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি প্রায় ২০ বছর পূর্বে গঠিত কমিটির কয়েকজন ব্যক্তিকে তার নিয়ন্ত্রণে বা আয়ত্তে নিয়ে এই অসাধু কাজগুলো সম্পন্ন করছেন।”
এমতাবস্থায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর তারা ফেস্টুন নিয়ে নীরব প্রতিবাদ করতে গেলে ফাদার আন্তনি সেনের মনোনীত ব্যক্তি মি. পবিত্র দাস, মি. শিরিল দাস, মি. ললিন দাস এবং মি. সুবেক দাস (ক্যাটিকিস্ট মাস্টার) তাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন। এ সময় তারা এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক কামাল উদ্দিনকে ফাঁসানোর হুমকি দেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন।
হুমকির মুখে প্রতিবাদ চালিয়ে না গিয়ে তারা শান্তভাবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীকালে, ফাদার আন্তনি সেনসহ অভিযুক্ত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে এলাকাবাসীর যুবসমাজের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।



