মোটরসাইকেল গ্যারেজ থেকে বোরকা পরে পালানোর পরিকল্পনা করার সময় ইভন হত্যার মূল আসামি সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল আটক

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইসদাইরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কিশোর গ্যাং লিডার ও আজমেরী ওসমানের আস্থাভাজন নাহিয়ান আজম ইভন হত্যার প্রধান আসামি পাগলা সাইফুলকে গত ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার ফতুল্লা থানাধীন অক্ট অফিস সংলগ্ন সাদেকের মোটরসাইকেল গ্যারেজ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি দল।
গ্রেফতারের পরপরই র্যাবের মিডিয়া গ্রুপে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। অপরদিকে পুলিশের মিডিয়া গ্রুপে সেই আসামিকে ফতুল্লা মডেল থানা কর্তৃক আটক বলেও পোস্ট করা হয়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, পাগলা সাইফুলের এক সহযোগী জয় সেই গ্যারেজের মাত্র ৪০ মিটার দূরে একটি পিকআপ এনে রাখে এবং সেখানে একটি লাল রঙের বোরকা রেখে দেয় পাগলা সাইফুলের জন্য। এর মধ্যে পাগলা সাইফুল সাদেকের গ্যারেজের ভিতরে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান নেয়। সেই সময় র্যাবের একজন সদস্য সিভিল পোশাকে সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে। একই সাথে থামিয়ে রাখা পিকআপ চালক জয়কেও আটক করা হয়।
আটকের সময় পাগলা সাইফুলের সাথে র্যাবের বেশ ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তাকে হ্যান্ডকাপ পরাতে সক্ষম হয় র্যাব। এর পরেই সেখানে ফতুল্লা থানার পুলিশ সিভিল পোশাকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং পরিশেষে র্যাব ও ফতুল্লা থানা পুলিশ মিলে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
তবে পাগলা সাইফুলের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও পিকআপ চালক জয় আটকের বিষয়টি কোথাও জানানো হয়নি। এই বিষয়ে খ-সার্কেলকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
অপরদিকে সাইফুলকে আটকের পরপরই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ইভনের পরিবার। এসময় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অনেকের নাম উঠে এসেছে বলে ইভনের পরিবার জানিয়েছে। এরই মধ্যে ইভন হত্যার আরেক আসামি মো. টুটুলকে আটক করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। অন্যদিকে ইভন হত্যাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় ওসমানী স্টেডিয়ামের পাশে সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল ও তার তিন সহোদর মিলে ইভনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে তারা চলে যায়। ইভনকে নিয়ে সকলে ব্যস্ত থাকায়, পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপরোক্ত ঘটনার বিবরণে সেই গ্যারেজ মালিক সাদেক বলেন, র্যাবের একজন লোক জয়কে নিয়ে প্রথমে গ্যারেজে এসে আমার নাম জিজ্ঞেস করে এবং সাথে সাথেই সাইফুল ও পিকআপ চালককে আটক করে। পরক্ষণেই সেখানে পুলিশ চলে আসে এবং তাদের নিয়ে যায়। সেই সময় জয়ের আনা পিকআপটিও পুলিশ নিয়ে যায়। এই বিষয়ে জানতে ফতুল্লা মডেল থানায় কল করা হলে অফিসার ইনচার্জও কলটি রিসিভ করেননি।



