Uncategorizedঅপরাধআইন, ও বিচারএক্সক্লুসিভপ্রতারনাবাংলাদেশরাজনীতিরাজনীতি

আওয়ামীলীগের ক্যাডার আল-আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

গণ-অভ্যুত্থানে হামলার নামে মামলা দিয়ে হয়রানি- বাণিজ্যে জড়িত শাহাদাত সালাউদ্দিন আল-আমিন ওসি রাশেদ

স্টাফ রিপোর্টার: সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগের ক্যাডার আল-আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রী মোসা: নিপা আক্তারকে নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের, গণ-অভ্যুত্থানে হামলার নামে, মামলা দিয়ে হয়রানি-বাণিজ্যের সাথে জড়িত আল-আমিন। তার অন্যতম প্রধান সহযোগীরা হলেন, এনসিপির গাছা থানার বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত এবং জুলাই যোদ্ধা দাবী করা সালাউদ্দিন সাদিক সহ সাথে আছে ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদ-খবরটি একটি সূত্রে জানা যায়।

ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর আ.লীগের ক্যাডার আল-আমিন
ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর আ.লীগের ক্যাডার আল-আমিন

জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার ২৮ শে মে ২০২৫ ইং একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় গণ-অভ্যুত্থানে হামলার মামলার বাদী সালাউদ্দিন সাদিক বলেন, মামলার ১১৮ জন আসামীদের মধ্যে ১০৬ জনকেই তিনি চিনেন না। আমি শুধু ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি এ কথা বলে অভিযোগের তীর ছুরে বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে ৫২ জন প্রকৃত অপরাধী কে সনাক্ত করে মামলা করতে চাইলেও গাছা থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদের নেতৃত্বে একটি চক্রান্তকারী মহল ১১৮ জনকে আসামী করে মামলা দিয়ে আমাকে এবং বহু নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করেছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোককে আমি চিনি না, তারাও আমাকে চেনেন না।

মামলার বাদী সালাউদ্দিন সাদিক

এই মামলায় ষড়যন্ত্রমূল ক্যাডার আল-আমিন তার স্ত্রী মোসা: নিফা আক্তারকেও এজাহারে ৩৪ নং আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে হয়রানি করেন। এই আল- আমিন গাজীপুর গাছা থানা শাখার যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, বর্তমানে নিজেকে এনসিপির নেতা এবং জুলাই যোদ্ধাদের সমন্বয়কারী দাবী করে থাকেন। অপরদিকে হয়রানি ও ষড়যন্ত্র মূলক গণ-অভ্যুত্থানের হামলার বিরুদ্ধে মামলার মূল নিয়ন্ত্রণকারী হলেন শাহাদাত, তিনিও পূর্বে আওয়ামী লীগের ক্যাডার ছিলেন বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আল-আমিন ও শাহাদাত সহ অন্যান্য সহযোগীরা মিলে সালাউদ্দিন সাদিককে বাদী বানিয়ে মামলা বাণিজ্য করেন, সাথে আছেন গাছা থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদ।

গাছা থানার পুলিশ কর্মকর্তার সাথে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর আ.লীগের ক্যাডার আল-আমিন

মূলত এরা একটি সিন্ডিকেট, অপরদিকে দায়বদ্ধতা এড়াতে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, সবাই এখন এনসিপির নাম ভাঙ্গিয়ে মামলা বাণিজ্যের করে রমরমা ব্যবসা করতেছেন। এই ক্যাডার আল আমিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী নিপা আক্তার গুরুতর অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫/১০/২০২০ ইং সালে গাজিপুর বোর্ডবাজার এলাকায়, মো: আল আমীন (২৬) (পিতা-মৃত শাহজাহান আলী) আমাকে রেজি: কাবিন মূলে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ করে। বিবাহের পর থেকে আমার স্বামী মোটরসাইকেল, কখনো আই ফোন কেনার জন্য নগদ টাকা দাবি করেন, টাকা দিতে না পারলে আমার উপরে অত্যাচার ও নির্যাতন করতে থাকেন। দিনশেষে তিনি শুধু টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না, পরবর্তীতে আমি জানতে পারি আমার স্বামী মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ী সহ নারী ব্যবসায় জড়িত হন।

একজন স্ত্রী হয়ে এহেন অপকর্ম সহ্য করতে না পেরে, তাকে ভালো পথে আনার জন্য এসব কুকর্ম কাজে বাধা দিলে আমাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে আবারও ব্যবসার কথা বলে অর্থ দাবী করলে বিভিন্ন সময়ে ৫ লক্ষ টাকা দেই। সুখী সংসার হবে বিদায় স্বামী চাওয়া মাত্র ব্যবসার জন্য তাকে টাকা দিয়ে আসছি কিন্তু আমার শাশুড়ি হাসিনা খাতুন (৫০) এর কু-পরামর্শ ও ইন্ধনে আমার স্বামী আমাকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে অত্যাচার করে আসছেন। ইহাতে আমি ন্যায় সঙ্গত প্রতিবাদ করিলে, আমার স্বামী আমাকে দফায় দফায় নির্যাতন ও বেধড়ক মারধর করতে থাকেন এবং তালাক দেওয়ার ভয়বীতি দেখায়।

 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর আ.লীগের ক্যাডার আল-আমিন

তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বিগত ১৩/০৬/২০২৩ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গাজীপুর সিআর মামলা করি। মামলা (নং-২৬৯/২০২৩), মামলা চলমান অবস্থায় পরীক্ষা করে জানতে পারি আমি অন্তরসত্তা। বিষয়টি স্বামী আল- আমিনকে জানালো সে বিয়ে অস্বীকার করে বাচ্চা নষ্ট করার ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগে করে আবারও অত্যাচার শুরু করেন। বাধ্য হয়ে বিগত ৮/৮/২০২৩ সালে গাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করি, পরের দিন ৯/৮/২০২০ একটি জিডি করি, (জিডি নং-৪৭৮)। সে জিডি থেকে মামলায় গ্রেফতার হয়ে ২দিন জেল খাটেন, পরবর্তীতে আপোষ মীমাংসা করে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় ১৬/৮/২০২৩ ইং আমাকে বিয়ে বিবাহ করে একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারও আমাকে নির্যাতন করতে থাকলে বাধ্য হয়ে বিগত ৪/০১/২০২৪ ইং সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইমুনাল, গাজীপুরে মামলা করি, মামলা (নং ৯/২০২৪) মামলা চলমান রয়েছে। উক্ত মামলার ভিত্তিতে আদালত কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণ পায় এবং ০১/১০/২০২৪ ইং সালে গ্রেফতার হয়ে স্বামী আলামিন দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে বের হন। তার কিছুদিন যেতে না যেতেই বিগত ১৮/১০/২০২৪ ইং সালে সুলতান মেডিকেল রোড আমাকে একা পেয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করেন, মামলা তুলে না নিলে আমি এবং আমার সন্তানকে হত্যা করে গুম করার হুমকি দেন। এছাড়াও আল-আমিন বিভিন্ন সময় নামে বেনামে ফেসবুকে আইডি খুলে আল-আমিনের সাথে থাকা কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তেরও ছবি কাটপিস করে পোস্ট করে মানহানির চেষ্টা করলে বিষয়টি জানতে পেয়ে, গাছা থানায় বিগত ১০/০৪/২০২৪ ইং তারিখে অভিযোগ করি জিডি নং (৫১০)।

আমি কোন অন্যায় কাজ করি না এবং কোন অন্যায়ের কাজের সাথে জরিত নেই। বর্তমানে আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কিত আছি। আমার সাথে আইনি ভাবে লড়াই করে ব্যর্থ হয়ে অন্যায় ভাবে একজন নিরীহ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা কোন সুস্থ মানুষ মেনে নিতে পারে না। আমি অন্তবর্তী কালীন সরকার এবং তার প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা সহ সঠিক বিচার চাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button