অপরাধএক্সক্লুসিভকুমিল্লাবাংলাদেশ

নেশাখোর রেজার যোগসাজশে সাংবাদিক শাহীন এর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের হোটেল পতিতা মুক্তির মিথ্যা মামলা

বিশেষ প্রতিবেদক: কুমিল্লায় পুলিশের মামলা বাণিজ্য আর নিরহ মানুষকে হয়রানির অভিযোগে প্রতিবাদী নিউজ করায় পুলিশের সোর্স নামের দালাল নেশাখোর রেজার যোগসাজশে জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক এম শাহীন আলম কে ফাঁসাতে কুমিল্লা সদর উপজেলার আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় “আপন” নামের একটি  আবাসিক হোটেলের পতিতা মুক্তা খাতুন মুক্তি নামের এক নষ্টা নারীকে দিয়ে কুমিল্লার আদালতে মিথ্যা গায়েবী মামলার অভিযোগ।
মামলাটির সূত্র ধরে সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, সাংবাদিক এম শাহীন আলম দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে সুনামের সহিত বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ সততা এবং নিষ্ঠার সাথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বলিষ্ঠ লিখনীর মাধ্যমে দেশের মানুষের কল্যাণে অবিরাম লিখে যাচ্ছেন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলামের অনিয়ম আর মিথ্যা গায়েবী মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নিউজ চলাকালীন সময়ে নেশাখোর পুলিশের সোর্স নামের দালাল রেজার সহযোগিতায় কুমিল্লার আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় ” আপন ” নামের একটি আবাসিক হোটেল এর ম্যানেজার রবিউলকে প্রধান সাক্ষী সহ আরো তিনজন হোটেল বয়কে স্বাক্ষী করে পতিতা নারী মুক্তা খাতুন মুক্তি বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে গত ২০/০৮/২০২৫ ইং তারিখে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা গায়েবী মামলা দায়ের করেন।

সরজমিন অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সাংবাদিক এম শাহীন আলম নিয়মিত তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। সাংবাদিক এম শাহীন আলম সাংবাদিকতার পাশাপাশি সৎ ভাবে জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঔষধ ব্যবসার সাথে জড়িত। সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদর উপজেলায় হলেও তিনি কোন প্রকার জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কুমিল্লায় তেমন একটা যান না। অথচ তাকে একজন হোটেল পতিতা নারীকে ব্যবহার করে সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর দীর্ঘ দিনের ইমেজ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা গায়েবী মামলাটি করা হয়।

সরজমিনে জানা যায়, মামলাটি দায়ের করার পর থেকেই পুলিশের সোর্স নেশাখোর রেজা সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে গ্রেফতারের দাবীতে তার মতোই কিছু নেশাখোর, ফুটপাতের হকার,টোকাই শ্রেণীর লোক এবং ভাড়াটে লোক দিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় দুটি মানববন্ধন করেন এবং কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা নামের তার একটি ফেসবুক আইডি থেকে সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর নামে ছবি ভিডিও দিয়ে নিউজের নামে মিথ্যা বানোয়াট লিখা প্রচার করেন। যা কুমিল্লার মানুষ ধিক্কার সাথে তার এসব মিথ্যা নিউজ প্রত্যাখান করেন বলে জানা যায়। এই নেশাখোর রেজার বিরুদ্ধে সরেজমিনে তার বসবাসরত এলাকার লোকজন অপরাধ বিচিত্রাকে জানান, নেশাখোর রেজা নিজেই তো বহু অপরাধ এর সাথে জড়িত এবং তার নামে বেশ কয়েকটা মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এই নেশাখোর রেজার তো তেমন লেখা পড়া নাই তাহলে সে কিভাবে নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়। তাকে তো দেখতেই নেশাখোরের মতোই লাগে। আর একজন অপরাধী নেশাখোর কিভাবে সমাজের দর্পন সাথে জড়িত হয়। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জনান,এই নেশাখোর রেজা কুমিল্লার কেউ নয়, সে গত কয়েকবছর ধরে কোথায় থেকে এসে দূর্গাপুরে জায়গা কিনে বাড়ি করে বসবাস করছে বলে জানান। স্থানীয়রা জানান,একজন অশিক্ষিত নেশাখোর লোক কিভাবে সাংবাদিক পরিচয় দেয়,তা কি কুমিল্লার সাংবাদিকরা দেখে না। ক্ষোভের সহিত আলেখারচর এলাকার স্থানীয় লোকজন অপরাধ বিচিত্রার প্রতিবেদককে জানান, এই নেশাখোর রেজার সাথে গত কয়েকবছর ধরে যা দেখলাম, তার সাথে এলাকার কোন ভালো লোক চলতে দেখলাম না। যত বাজে নেশাখোর লোক তার সাথে চলাফেরা সহ আড্ডা দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ নেশাখোর রেজার ইনকাম সোর্সটা কি সে এতোবড় অফিস ভাড়া পায় কই, সে যে প্রাইভেটকারে চড়ে তার তেল খরচ পায় কই, সে কোথায় থেকে এসে এখানে বাড়ি করেছে তার এই টাকার বৈধ উৎস কি? আলেখারচর সহ কুমিল্লার বহু লোকজন ক্ষোভের সহিত জানান, নেশাখোর রেজার আয়ের উৎস কি? তার বৈধ ইনকামটা কি? সে চলে কিভাবে? স্থানীয়দের অভিযোগ গত কয়েকবছর ধরে এই রেজা নামের লোকটি কুমিল্লার বাহির থেকে এসে তার মতো কিছু নেশাখোর, ইয়াবাখোর মাদকাসক্ত  মাদককারবারীকে সাথে নিয়ে কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা নামের একটি ফেসবুক আইডি খোলে মানুষকে হয়রানি সহ ব্ল্যাকমেইল করাই হলো তার একমাত্র কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ এই নেশাখোর রেজাকে তো দেখলাম না তার আশপাশে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে যেখানে অবৈধ মাদক এবং নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে তার জন্য কিছু লিখতে স্থানীয় লোকদের অভিযোগ  এই নেশাখোর রেজার নিজেরই অপরাধের শুরু আছে শেষ নেই। এই নেশাখোর রেজার বিরুদ্ধে এখনো একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।  সে নিজেকে কখনো এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি আবার কখনো কুমিল্লা ক্রাইম বার্তার প্রকাশক হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটার পর একটা অপরাধ করে যাচ্ছে স্থানীয় ভাবে বসবাসরত লোকজন  জানান।

এই বিষয়ে সাংবাদিক এম শাহীন আলম অপরাধ বিচিত্রা’কে জানান, মুক্তা আক্তার মুক্তি নামের কোন নারীর সাথে তার কখনো জানা শোনা ছিলোনা এবং তাকে কখনো চিনেন না। এম শাহীন আলম জানান, গত ১৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখে রাতে আমার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে একজন নারী কল দেয় এবং আমার সাথে কথা বলতে চায়,পরক্ষণে আমি মোবাইল কলে কথা না বলে কল কেটে দিলে বিপদে আছে সাহায্য চেয়ে মুক্তি পরিচয়ে একজন নারী আমাকে এসএমএস করেন আমাকে তার একটা ছবি পাঠান,আমার ছবি দিতে তিনি বলেন, আমি তাকে ছবি না দিলেও তিনি আমাকে তার একটা ছবি দিয়ে বলেন, তার সাথে একজন লোক প্রতারণা করেছে তাকে আমি হেল্প করতে। কিন্তু তার কথাবার্তায় আমার সন্দেহ হওয়ায় তাকে আমি এসএমএস করে বলি আপনি যে ঘটনার কথা বলছেন তার জন্য সাংবাদিক কিছু করতে পারবে না, আপনি বরং থানার পুলিশের সহযোগিতা নেন বলে পরামর্শ দিয়ে আমি তার সাথে এসএমএস থেকে বিরত থাকি। এর পর গত ২০/০৮/২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যায় একজন এডভোকেট মোবাইল ফোনে জানান, সাংবাদিক সাহেব আজ আপনার বিরুদ্ধে মুক্তা খাতুন নামের এক নারী মামলা দিয়েছে আপনি কি তা জানেন, আমি বললাম না আমি তো জানিনা। আর মুক্তা খাতুন কে এমন নামের কোন নারীকে তো আমি চিনি তাও তো আমার জানা নেই।
রেজা কেন আপনার বিরুদ্ধে লেখালেখি, মানববন্ধন করলো, আপনার গ্রেফতারের দাবী জানালো এই বিষয়ে বক্তব্য সাংবাদিক এম শাহীন আলম জানান, গত কিছুদিন আগে পুলিশের সোর্স নামের দালাল নেশাখোর রেজা কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলামের অনিয়মের বিরুদ্ধে নিউজ বা লেখালেখি না করার বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু তার কথা কিংবা তাকে আমি পাত্তাই দেইনি। যার কারণে এই নেশাখোর রেজা কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে হোটেল পতিতা নারীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা, আমাকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি, ভিডিও প্রচার, আমাকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন সহ যা যা করার সবেই করেছে ওসি মহিনুল ইসলামকে সেইভ করার জন্য এই নেশাখোর রেজা। এম শাহীন আলম বলেন, যে হোটেল পতিতা  নারী আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে তার মামলায় উল্লেখ করা মোবাইল নাম্বারটি প্রথম থেকেই বন্ধ এবং আজ পর্যন্তও বন্ধ।  কিন্তু কয়েকদিন আগে নেশাখোর রেজার একটি ভিডিওতে কল রেকর্ডে শুনলাম ঐ হোটেল পতিতা নারী রেজার সাথে মোবাইল ফোনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।  এই মহিলার মামলার লিখিত বক্তব্য এবং মোবাইল বক্তব্যেও গরমিল রয়েছে। প্রশ্ন হলো যেখানে মামলার বাদীনি হোটেল পতিতা নারী মুক্তা খাতুন মুক্তির মোবাইল নাম্বার কেউ জানেনা, সেখানে নেশাখোর রেজা ঐ হোটেল পতিতা নারী মুক্তা খাতুন মুক্তির মোবাইল নাম্বার পেলো কোথায় কিভাবে। সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বক্তব্যে বলেন, নারী দিয়ে মিথ্যা মামলার মুল চরিত্র হলো নেশাখোর রেজা।

এই বিষয়ে জানতে মামলার লিখিত কপিতে মোবাইল নাম্বার দেওয়া মামলার বাদীনি মুক্তা খাতুন মুক্তির মোবাইল নাম্বারে বারবার কল দিলে নাম্বারটি বন্ধ বন্ধ বলে কখনো কখনো নাম্বারটি আর ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে জানাচ্ছে।

এই বিষয়ে আরো জানতে রেজার সাথে তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তার মোবাইল সংযোগটি পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে আরো নতুন দিয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button