ভালুকায় নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য
রাসেল ফকির: ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের ভালুকা অংশে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের ‘ডাম্পিংয়ের’ ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ভরাডোবা হাইওয়ে থানার বিরুদ্ধে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভালুকা হাইওয়ে ভরাডোবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ এবং তার ঘনিষ্ঠ এসআই সবুজ মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কে চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনার আড়ালে প্রতিনিয়ত চালকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা দোকানগুলো থেকেও নিয়মিতভাবে মাসিক চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। খুঁজ নিয়ে জানা যায়, ভালুকা হাইওয়ে থানায় যোগদানের পর থেকে অদ্যবদি ডিউটি কালিন সময়ে পোষাক ছাড়াই ডিউটি করছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, আমতলা আইডিয়াল মোড়, স্কয়ার ১নং গেইট, এন ভয় কোম্পানির সামনের সড়ক ও মাস্টারবাড়ি স্কয়ার গার্মেন্টসের সামনে থেমে থাকা ট্রাক ও বাসগুলো থেকেও চাঁদা আদায় করা হয়। এসব টাকা প্রথমে এসআই সবুজ মিয়া সংগ্রহ করেন এবং পরে ওসির সঙ্গে ভাগাভাগি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ সাংবাদিকদের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিয়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান। একাধিক সাংবাদিক তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এসব কর্মকাণ্ডে এলাকার পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে স্থানীয়রা।



