অপরাধআইন ও বিচারআইন, ও বিচারএক্সক্লুসিভজাতীয়দুর্নীতিদেশপ্রশাসনবাংলাদেশরাজনীতিরাজনীতিসম্পাদকীয়

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত সন্দেহে হত্যা চেষ্টার ৩ আসামিকে গ্রেফতারের নাম করে পুলিশ নিয়ে গিয়ে ভয় ভীতি দেখাই , পরবর্তীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ তাদেরকেই আবার গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত চাঁদাবাজ ব্যক্তিরা হলেন , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিমানবন্দর থানার সাবেক সদস্য সচিব এইচ এম নোমান রেজা (২৯) বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ফারিয়া আক্তার তমা(২০) এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিমানবন্দর থানার সাবেক যুগ্ন সদস্য সচিব তানজিল হোসেন (২৫)। উত্তরা পশ্চিম থানা ও গোয়েন্দা সূত্র শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাদের এরিয়া থেকে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ওই তিনজন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের বিমানবন্দর থানা – পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা সাংবাদিকদের বলেন , চাঁদাবাজির অভিযোগে নোমান রেজা সহ কয়েকজন আমাদের হেফাজতে আছেন। রিয়াজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আটক হওয়া তিনজন সহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত নামা আরো দুজনকে মামলার আসামি করা হয়। এজাহারে ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় গত ৬ জুলাই নোমান রেজা বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন । ওই মামলায় দেলোয়ার নামের একজনকে আসামি করা হয়। এদিকে বাদীর (রিয়াজ) ছোট বোন ফেরদৌসী হোসেনের স্বামী দেলোয়ার হোসেন কে ওই মামলায় আসামি বলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য , উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাসায় গভীর রাতে পুলিশ নিয়ে যান নোমান ও তার সহযোগীরা । তখন বাদির ভাগ্নি রাদিয়া হোসেন পুলিশকে বলেন, তার বাবা-মা বাসায় নেই । পরে পুলিশ ওই বাসা থেকে চলে যায় কিন্তু নোমান ও তার সহযোগীরা বাড়িটির সামনে অবস্থান নেই । কিছুক্ষণ পর নোমান রেজা ও তার সহযোগীরা জোর করে বাদীর ভগ্নিপতির বাসায় ঢুকে পড়েন এবং নোমান নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে তাদের জানাই ১০ লাখ টাকা দিলে উক্ত মামলা থেকে দেলোয়ারকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। ওই সময় বাদী বলেন , মামলায় ঘটনায় দেলোয়ার যে জড়িত তাহার কি কোন সাক্ষ্য প্রমাণ আছে আপনাদের কাছে ? এক পর্যায়ে নোমান ও তাহার গুন্ডা বাহিনী তাদের উপর উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন । উপায়ান্তর না দেখে বাদি বিভিন্ন জায়গা থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করে এবং বাদির ছেলে মুন্না , নোমানের কথামতো তানজিলের হাতে টাকা তুলে দেন। বাকি সাড়ে চার লাখ টাকা শুক্রবার বিকেলে দিতে হবে বলে সময় বেঁধে দেন। না দিলে নোমানরা , বাদী ও তার পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে গভীর রাতে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এদিকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার হওয়া বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে শুক্রবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button